সংক্ষিপ্ত
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রীতিমত উত্তাল রাজ্য। এরই মাঝে ৬,৮৬১ নয়া পদ তৈরির বিজ্ঞপ্তি, এসএসসি ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের নিয়োগের নির্দেশ রাজ্য সরকারের।
একের পর এক এসএসসি নিয়োগ মামলায় জর্জরিত হয়ে রয়েছে রাজ্য সরকার। তবে অবশেষে শোনা গেল সুখের খবর। রাজ্য সরকারি স্কুলগুলিতে ৬,৮৬১ টি নতুন পদ তৈরির বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য সরকার। সেইসঙ্গে ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের নিয়োগের নির্দেশ দিল রাজ্য। বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে এই বিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাবে এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেবে বলেই জানিয়েছে রাজ্য। তবে এক্ষেত্রে আদালতের সকল নির্দেশ বহাল থাকবে বলে ও জানা গেছে। এদিন স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে যে রাজ্যে নতুন করে ৬,৮৬১টি পদ তৈরি করা হচ্ছে। তার মধ্যে ১,৯৩২টি পদ নবম ও দশম শ্রেণির সহকারী শিক্ষক পদের জন্য, ২৪৭টি পদ একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির সহকারী শিক্ষক পদের প্রার্থীদের জন্য, একাদশে দুটি পদ গ্রুপ সির জন্য, ১৯৮০টি পদ গ্রুপ ডির জন্য এবং ১,৬০০ পদ তৈরি করা হয়েছে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা প্রার্থীদের জন্য।
আরও পড়ুন- চাকরি গেল মন্ত্রী পরেশ কন্য়া অঙ্কিতার, ফেরাতে হবে পুরো বেতন, নির্দেশ হাইকোর্টের
আরও পড়ুন- হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ পার্থ, আজই শুনানির সম্ভাবনা
আরও পড়ুন- ডিএ মামলার রাজ্য়ের আবেদন খারিজ, ৩ মাসের মধ্য়ে বকেয়া মেটানোর নির্দেশ
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এই বিরাট সিদ্ধান্ত নিয়োগের পিছনের কারণ ও প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলে যাঁরা ওয়েটিং লিস্টে আছেন, তাঁদের চাকরির সুযোগ করে দিতেই এই নতুন পদ সৃষ্টি করা হল বলে জানানো হয়েছে। স্কুল শিক্ষা দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে যেহেতু বর্তমানে বিতর্কের একেবারে শীর্ষ স্থানে রয়েছে শিক্ষা দপ্তরের নিয়োগ প্যানেল, তাই যদি আদালতের নির্দেশ অনুসারে কোনওরকম পরিবর্তন আনতে হয়, তবে তাও যথাযথ নিয়ম মেনেই সম্পন্ন করতে হবে।
একদিকে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। অন্যদিকে কম নম্বর থাকা সত্ত্বেও নিজের মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ায় পক্ষপাতিত্বের বিরাট অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে মন্ত্রী কন্যার চাকরি বরখাস্ত করে তিনি যে বেতন পেয়েছেন, তা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এহেন নানান বিতর্কের মাঝেই রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছেন, ওয়েটিং লিস্টে আছেন, এমন প্রার্থীরাই আন্দোলন করছিলেন। মূলত তাঁদের নিয়োগ করতেই সরকারের প্রায় সাত হাজার নয়া পদ তৈরি করেছেন, যা সরকারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ইতিবাচক একটি দিক।