সংক্ষিপ্ত
এসএসসি মামলায় উত্তাল রাজ্য। ৩৮১ জনকে ভুয়ো নিয়োগ। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে এসএসসি গ্রুপ সি সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করল রঞ্জিত বাগ কমিটি। আট জন কর্তা অভিযুক্ত রিপোর্টে।
এসএসসি মামলায় উত্তাল রাজ্য। ৩৮১ জনকে ভুয়ো নিয়োগ। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে এসএসসি গ্রুপ সি সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করল রঞ্জিত বাগ কমিটি। আট জন কর্তা অভিযুক্ত রিপোর্টে। সওয়াল-জবাবের পর হাইকোর্ট এসএসসি মামলায় অন্তবর্তীকালীন স্থগিতাদেশ বজায় রাখল। আগামী বুধবার এই মামলায় রায় দেবে ডিভিশন বেঞ্চ। স্কুল সার্ভিস কমিশন, ৩৮১ জনকে ভুয়ো নিয়োগ করেছে। এদের মধ্যে ২২২ জন পরীক্ষাই দেয়নি। বাকিরা পরীক্ষা দিলেও পাশ করতে পারেননি। গরুরুতর অভিযোগ উঠেছে হাইকোর্টে জমা দেওয়া বাগ কমিটির রিপোর্টে।
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে এসএসসি গ্রুপ সি সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করল রঞ্জিত বাগ কমিটি। আট জন কর্তা অভিযুক্ত রিপোর্টে। সওয়াল-জবাবের পর হাইকোর্ট এসএসসি মামলায় অন্তবর্তীকালীন স্থগিতাদেশ বজায় রাখল। আগামী বুধবার এই মামলায় রায় দেবে ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি আনন্দকুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে বাগ কমিটির রিপোর্ট পেশ করেন আইনজীবী অরুনাভ বন্দ্য়োপাধ্যায়। তিনি জানান স্কুল সার্ভিস কমিশন, ৩৮১ জনকে ভুয়ো নিয়োগ করেছে। এদের মধ্যে ২২২ জনের নাম কোনও প্যানেল ওয়েটিং লিস্টের মধ্যেই ছিল না। কারণ এই ২২২ জন পরীক্ষাই দেয়নি। বাকিরা পরীক্ষা দিলেও পাশ করতে পারেননি। এছাডা়ও এই নিয়োগ নিয়ে একাধিক অভিযোগ করা হয় বাগ কনমিটির রিপোর্টে। এদিন মামলাকারীর পক্ষে হাইকোর্টে উপস্থিত ছিলেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। রাজ্যের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন, 'নোবেল পাওয়ার ক্ষমতা রাখেন মমতা', ফের বিস্ফোরক দিলীপ
এসএসসি নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। একের পর এক বিস্ফোরক খবর ক্রমশ প্রকাশ্য়ে আসছে। তবে সম্প্রতি এহেন পরিস্থিতির মাঝেই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ পেয়েছে। যা নিয়ে যারপরনাই খুশি চাকরিপ্রার্থীরা। তবে রয়ে গিয়েছে সেখানেও কিছু প্রশ্ন। উল্লেখ্য, প্রায় ৬ বছর পর স্কুল স্কুল সার্ভিস কমিশন শিক্ষক নিয়োগ করতে চলেছে। ইতিমধ্য়েই এই মর্মে তাঁদের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জানিয়েছে এসএসসি। তাতে বলা হয়েছে, খুব শীঘ্রই এই নিয়োগ, সংক্রান্ত বিস্তারিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তবে এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরেই শিক্ষামহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। একদিকে স্কুল ও চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে খুশির হাওয়া। কারণ শিক্ষকদের বহু পদ ফাঁকা। সকলেই আশাবাদী যে, এবার সত্যিই শূন্যপদ পূরণ হতে চলেছে।
আরও পড়ুন, সাতসকালে ফের আরও ২ বাড়িতে ফাঁটল, বউবাজারকাণ্ডে রেলকে চিঠি অধীরের, আজ বৈঠক পুরসভার
শিক্ষা মহলের একাশের প্রশ্ন, আপার প্রাইমারির সাড়ে ১৩ হাজার শূন্য পদে নিয়োগ হবে কবে। আপার প্রাইমারি অর্থাৎ ক্লাস ফাইভ থেকে এইটের মধ্য়ে আলাদা করে শিক্ষক নিয়োগ হয়ে থাকে। বছর কয়েক আগে আপার প্রাইমারির সাড়ে তেরো হাজার পদ নিয়োগে, অনিয়মের অভিযোগ হওয়া মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য নতুন প্যানেল তৈরি করে ২০২১ এর ৩১ মে-র মধ্য়ে দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই সাড়ে ১৩ হাজার পদে নিয়োগের কাজ এখনও শুরু করতে পারেনি মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। কারণ স্কুল সার্ভিস কমিশন প্রার্থী বাছাই করে এখনও চূড়ান্ত মেধা তালিকা বার করতে পারেনি। প্রার্থীদের ইন্টারভিউ-র পর কাউন্সিলিং করে মেধা তালিকা তৈরির পর আদালতে পেশ করার কথা। এই কাজ থমকে থাকার কারণ, অল্প সময়ের ব্যবধানে এসএস-র দুই জন চেয়ারম্যান বদল। ফলে সিদ্ধান্ত নিতেই অনেক সময় বেরিয়ে যায়। তাই বাইশ সালে এসেও এসএসসি নিয়ে বিতর্ক ক্রমশেই উসকে যাচ্ছে।