সংক্ষিপ্ত

'দিদি আমাদের মহিলা জাতিকে তথা সব মহিলাকেই লক্ষ্মীর রূপ দিয়েছেন', কোলে লক্ষীর ভাঁড়, শঙ্খ বাজিয়ে দুয়ারে অভিনব প্রচারে তৃণমূল প্রার্থী।  সোনামুখী পুরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডে এমন অভিনব প্রচারের মাধ্যমে রতনগঞ্জ এলাকায় জোয়ার আনলেন তৃনমূল প্রার্থী বাবলী গোস্বামী।

'দিদি আমাদের মহিলা জাতিকে তথা সব মহিলাকেই লক্ষ্মীর রূপ দিয়েছেন', কোলে লক্ষীর ভাঁড়, শঙ্খ বাজিয়ে দুয়ারে অভিনব প্রচারে তৃণমূল প্রার্থী (TMC Candidate) ।  সোনামুখী পুরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডের তৃনমূল প্রার্থী বাবলী গোস্বামী (TMC Candidate Babli Goswami)  এমন অভিনব প্রচারের মাধ্যমে রতনগঞ্জ এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে জনসংযোগ কাজে ঝাপিয়ে পড়লেন।

লক্ষীবারে লক্ষীর ভাড় আর শঙ্খ বাজিয়ে বাড়ির দরজার ভোট প্রচারে তৃনমূল প্রার্থী। সোনামুখী পুরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডের তৃনমূল প্রার্থী বাবলী গোস্বামী এমন অভিনব প্রচারের মাধ্যমে রতনগঞ্জ এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে জনসংযোগ কাজে ঝাপিয়ে পড়লেন। রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্প লক্ষীর ভান্ডার। সেই লক্ষীর ভান্ডারকে হাতিয়ার করে জমজমাট প্রচার সারলেন তিনি। লক্ষীর ভাঁড় নিয়ে শাঁখ বাজিয়ে ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে ভোটারদের মন জয় করে ভোট চাইলেন তিনি। প্রার্থীর প্রচারে শহরের মোড়ে মোড়ে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের গানের সুরে ও  নৃত্যের তালে জমজমাট হয়ে উঠল সোনামুখী শহর। 

আরও পড়ুন, স্বামী টিকিট পেলেও পাননি স্ত্রী, পুরভোটে প্রার্থী পদ না পাওয়ায় বিবাহ বিচ্ছেদ দমদমে

 বাবলী গোস্বামী বলেছেন, 'দিদি আমাদের মহিলা জাতিকে তথা সব মহিলাকেই লক্ষ্মীর রূপ দিয়েছেন। সেই সম্মানটাও দিয়েছেন। দিদি আজকে আমাদের যে সম্মানটা দিয়েছেন, সেটা মা লক্ষ্মী রুপেই নির্ধারিত রয়েছে। সেই জন্যই আজকে আমরা এই অভিনব প্রচার শুরু করেছি। দিদির হাত শক্ত করার জন্য, আমরা প্রতিটি তৃণমূল প্রার্থী পুরভোটে জয় করে উপহার দিতে চাই। আমরা প্রচারে বেরিয়ে এটাই বলছি, যে দিদি অনেক প্রকল্পই করেছি। তার মধ্যে অন্যতম লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প ((Lakshmi Bhandar Project) । এই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়েই আমাদের প্রতিটা মহিলাই খুব গর্ব বোধ করছে।' 

প্রসঙ্গত, গত বছর পুজোয় উৎসবের মুখে ৩ লক্ষ্য়ের অধিক মহিলার অ্যাকাউন্টে  লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে নগদ টাকা ভোট পর্ব মিটে যেতেই প্রায় ১০ লাখের বেশি মহিলা আবেদনকারীর মধ্যে এই টাকা জমা পড়েছে। প্রথম দফায় মুর্শিদাবাদের ৩ লক্ষ মহিলা পুজোর মুখে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে টাকা পেয়েছিলেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছিল। ক্যাম্প শুরু হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই সমস্ত প্রকল্পের জন্য জেলায় প্রায় ৮ লাখের বেশি আবেদন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ৬ লাখের কাছাকাছি আবেদন জমা পড়ে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের জন্য এক লক্ষ ১৯ হাজার আবেদন জমা হয়। তারপর মাত্র কয়েকটি ক্যাম্প হয়েছিল। এর মধ্যেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদনের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে।