সংক্ষিপ্ত
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই পুলিশি অভিযান।রাজ্যের একাধিক জেলায় আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুষ্কৃতিরা ধরা পড়ল।
মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) নির্দেশের পরেই পুলিশি অভিযান (WB Police)। আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ২। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। চাঞ্চল্য এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায়। হরিশ্চন্দ্রপুরের নানারাই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে জিয়াউল হক (৩৬) এবং ভালুকা সোনাপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে গোলাম সারওয়ার(২৪)। দুই জনের কাছ থেকেই একটি করে ওয়ান শাটার বন্দুক এবং দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে চেয়ে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। তবে শুধু মালদহই নয়, রাজ্যের একাধিক জেলায় আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুষ্কৃতিরা ধরা পড়ল।
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে উত্তাল সারা রাজ্য। রামপুর হাটে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নির্দেশ দেন রাজ্যের যেখানে যেখানে অবৈধ ভাবে বোমা-গুলি আগ্নেয়াস্ত্র মজুত আছে সেগুলি দ্রুত উদ্ধার করতে হবে। নাতো ক্রমশ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে। আর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর এই অভিযানে নেমে পড়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে এই দুই জনকে বন্দুক এবং গুলি সহ গ্রেপ্তার করা হয়। কী উদ্দেশ্যে তারা নিজেদের কাছে বন্দুক রেখেছিল বা কোথা থেকে এলো এই বন্দুক গুলি তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। হরিশ্চন্দ্রপুরের পাশেই বিহার সীমান্ত। এই এলাকার বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ কর্মের ক্ষেত্রে বিহার যোগ থাকে। এক্ষেত্র বিহারের যোগসূত্র আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস বলেন,'আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত দুইজনকে চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।আমরা সমস্ত ঘটনা তদন্ত করছি।'একই দিনে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার দুই জায়গা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গুলি উদ্ধার হওয়াই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে।
আরও পড়ুন, সিবিআই-র ডিআইজির নের্তৃত্বে বগটুইয়ে ৩০ আধিকারিকের দল, তদন্ত শুরু হতেই এফআইআর দায়ের
অপরদিকে , উত্তর ২৪ পরগণার রাজারহাটের গলশিয়া পশ্চিম পাড়া থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজসহ গ্রেপ্তার করল এক দুষ্কৃতী কে রাজারহাট থানার পুলিশ। অস্ত্র আইন ধারা মামলা রুজু করে দিতে এদিন বারাসত আদালতে পেশ করা হবে।পুলিশ সূত্র মারফত খবর, শুক্রবার রাত ১০ টা ৫ নাগাদ নাগাদ ইউসুফ মোল্লাকে গলাসিয়া পশ্চিমপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করে রাজারহাট থানার পুলিশ তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় ওয়ান শাটার আগ্নেয়াস্ত্র এবং এক রাউন্ড কার্তুজ। শুক্রবার রাতে রাজারহাট থানার টহলদারি গাড়ি দেখতে পায় বাইক নিয়ে পালানোর চেষ্টা করছে ১ জন দুষ্কৃতী, তখন পুলিশের সন্দেহ হয় পুলিশ ধাওয়া করে ওই বাইক আরোহী কে ধরে ফেলে পরে তল্লাশি চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজ উদ্ধার করে। জিজ্ঞাসাবাদ সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছে এর আগেও বিধান নগর কমিশনারেট এবং জেলা পুলিশে ইউসুফ মোল্লার নামে একাধিক অপরাধমূলক কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ আছে। রাজারহাট থানার পুলিশ আজ তাকে বারাসাত আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে কারণ এই অবৈধ অস্ত্র কোথা থেকে এলো এবং কি কারনে তিনি ওই অস্ত্র নিয়ে বেরিয়েছিলেন সমস্ত বিষয় জানতে চাইবে। যেখানে বিরোধীরা বারবার বলছে বিপুল অবৈধ অস্ত্র রয়েছে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে, তা আরও একবার প্রমাণিত।
পাশাপাশি, বারুইপুর পুলিশ জেলার থানায় থানায় তল্লাশি ও নাকা চেকিংয়ে উদ্বার বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র। ২৩টি জামিন অযোগ্য ওয়ারেন্ট আসামী গ্রেফতার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ পাওয়ার পর বারুইপুর পুলিশ জেলায় পুলিশের তৎপরতা। ভাঙড় থানার পুলিশ সুত্র মারফত খবর পেয়ে ভাঙড়ের চন্দনেশ্বর এলাকা থেকে কবিরুল পৌলান নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে উদ্বার হয় একটি একনলা বন্দুক ও একটি কার্তুজ। অন্যদিকে কাশিপুর থানার পুলিশ ভাঙড়ের নাংলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাহেব আলি মোল্লা নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে। যার কাছ থেকে উদ্বার হয় একটি বন্দুক ও একটি সতেজ কার্তুজ। বারুইপুর পুলিশ সূত্রে খবর রাতে অভিযান চালিয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার বেশ কিছু এলাকা থেকে ২৩টি জামিন অযোগ্য ওয়ারেন্ট আসামী গ্রেফতার হয়েছে। পাশাপাশি ২২ জন নির্দিষ্ট পুলিশ কেসে ও গ্রেফতার হয়েছে।