সংক্ষিপ্ত
- দিল্লি সফরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়
- আজ বেলা সাড়ে এগারোটায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত
- রাম নাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যপাল
- সঙ্গে থাকবেন স্ত্রী সুদেশ ধনকড়
ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে নালিশ করতে করতে দিল্লি সফরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তৃণমূল নেতাদের এই অভিযোগই এখন সবথেকে বড় চর্চার বিষয় রাজ্য রাজনীতিতে। মঙ্গলবার রাতের বিমানে দিল্লি উড়ে গিয়েছেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে এগারোটায় রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যপাল।
ধনকড়ের সঙ্গে এদিন থাকবেন তাঁর স্ত্রী সুদেশ ধনকড়। রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রে খবর এক সৌজন্য সাক্ষাতের জন্যই ধনকড়ের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা হবে। এদিনের সাক্ষাতের সময় উপস্থিত থাকবেন রামনাথ কোবিন্দের স্ত্রী সবিতা কোবিন্দ।
আরও পড়ুন- Fire at Delhi AIIMS: দিল্লি এইমসে ভয়াবহ আগুন, অল্পের জন্য প্রাণ বাঁচালেন রোগীরা
এদিকে, রাজ্যপালের এই দিল্লি সফরকে রীতিমতো বাক্যবাণে বিদ্ধ করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বুধবার কৃষ্ণনগরের সাংসদ বলেন রাজ্যপাল দিল্লি যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। খুব ভালো কথা। দয়া করে দিল্লি থেকে ফিরবেন না আর। এদিন মহুয়া মৈত্র ধনকড়কে আঙ্কলজি বলে সম্বোধন করে কটাক্ষ করেন।
এরআগে, রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপির একাধিক বিধায়ক। রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানান তাঁরা। আর তারপরই ফের দিল্লি সফরে যান রাজ্যপাল। তিনদিন সেখানেই থাকবেন। শোনা যাচ্ছে, সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করার কথা তাঁর।
আরও পড়ুন- আঙ্কলজি, দিল্লি থেকে দয়া করে ফিরবেন না, ধনকড়কে তীব্র কটাক্ষ মহুয়া মৈত্রর
মঙ্গলবার সকালে টুইট করে রাজ্যপাল জানান, ১৫ জুন অর্থাৎ মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর দিল্লি যাচ্ছেন তিনি। ১৮ জুন দুপুরের পর কলকাতায় ফিরবেন। তবে এর থেকে বেশি কিছু টুইটে জানানো হয়নি। এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের পর হঠাৎই রাজ্যপালের দিল্লি সফরকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে জল্পনা।
আরও পড়ুন- PM CARES: করোনা মোকাবিলায় রাজ্যে দুটি হাসপাতাল তৈরিতে অর্থ বরাদ্দ মোদী সরকারের
রাজ্যপালকে বুধবার আক্রমণ করেছেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুও। আলিমুদ্দিনে এদিন মমতার সুরেই ক্ষোভ উগরে তিনি বলেছেন,'রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক সীমা লঙ্ঘন করে কাজ করছেন। তিনি উত্তরবঙ্গে গেলেন, আরও একাধিক জায়গায় গেলেন, সব জায়গাতেই বিজেপি নেতাদের সঙ্গে নিয়েই ঘুরছেন। তিনি একজন বিজেপি নেতার মতোই কাজ করছেন। এটা একজন রাজ্যপালের ভূমিকা হতে পারে না।'