সংক্ষিপ্ত

 নির্বাচনের দায়িত্বে ৯ হাজার পুলিশকর্মীকে মোতায়েন করা হতে পারে। তবে কোথায় কত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হবে সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। কলকাতা পুরভোটের মতো একই ভাবে বুথগুলিতে পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

পুরভোটের (Municipal Elections) আগে হাতে বাকি রয়েছে আর মাত্র কয়েকটা দিন। ২২ জানুয়ারি রাজ্যের চারটি পৌরনিগম শিলিগুড়ি (Siliguri), বিধাননগর (Bidhannagar), আসানসোল (Asansol) ও চন্দননগরে (Chandannagar) নির্বাচন রয়েছে। আর সেই নির্বাচনে রাজ্য কত পুলিশ (West Bengal Police) দিতে পারবে, তা নিয়ে গত সপ্তাহেই জানতে চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। ডিজি ও সিপির সঙ্গে বৈঠকের সময় সেই প্রশ্ন করা হয়েছিল কমিশনের তরফে। সূত্রের খবর, এই নির্বাচনে রাজ্য প্রায় ৯ হাজার পুলিশ দিতে পারবে বলে কমিশনকে জানিয়েছে। 

জানা গিয়েছে, নির্বাচনের (Election) দায়িত্বে ৯ হাজার পুলিশকর্মীকে মোতায়েন করা হতে পারে। তবে কোথায় কত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হবে সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। কলকাতা পুরভোটের (Kolkata Municipal Election) মতো একই ভাবে বুথগুলিতে পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। কোথায় কত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হবে তা আজ ঘোষণা করতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। 

আরও পড়ুন- বেলাগাম সংক্রমণ, জানুন পুরভোটের আগে ৪ কেন্দ্রের কোভিড পরিস্থিতি

কলকাতা পুরভোট হয়েছে রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ দিয়ে। সেই ভোটেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়নি। যদিও বিরোধীদের দাবি ছিল যে পুরভোটে নিয়োগ করা হোক কেন্দ্রীয় বাহিনী। একইভাবে আসন্ন চার পুরভোটও রাজ্য পুলিশ দিয়েই করাতে চায় কমিশন। সেই মতো রাজ্যের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কত পুলিশ রাজ্য দিতে পারবে। কিন্তু, এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শুধুমাত্র রাজ্য পুলিশ দিয়েই যে ভোট করানো সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। আর এই পরিস্থিতিতে সবথেকে বেশি করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক ও পুলিশ কর্মীরা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই পুলিশ কর্মীরা করোনায় আক্রান্ত। সেক্ষেত্রে ভোটের সময় কত সংখ্যক পুলিশ কর্মী সুস্থ থাকবেন তা নিয়ে আশঙ্কায় রাজ্য প্রশাসন। 

এদিকে রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে করোনা। এই পরিস্থিতির মধ্যে নির্বাচন করানো কতটা সঠিক তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও এই পরিস্থিতিতে সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি এবং নির্বাচন বন্ধ রাখার পক্ষে সওয়াল করেছেন। আর তাঁর এই মন্তব্যের পরই পুরভোট হবে কি না, তা নিয়ে আবারও জোরালো প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও অভিষেক এটিকে তাঁর ব্যক্তিগত মতামত হিসেবেই বলছেন।