সংক্ষিপ্ত
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রেও রাজ্য সরকার বড়সড় পরিবর্তন আনতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। শোনা যাচ্ছে এবার থেকে রাজ্যের সমস্ত বিসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটর পদে রাজ্যপালকে সরিয়ে দেওয়া হবে
চ্ছে। রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার নাকি তাঁকে রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটর পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে। নবান্ন সূত্রের খবর রাজ্যপালের জন্য রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা বন্ধ করার চেষ্টা শুরু হয়েছে।
দিন কয়েক আগেই রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পদে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় পাশ হয়েছে। আগামী দিনে এই বিষয়ে বিধানসভায় বিল আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। তারই মধ্যে এবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রেও রাজ্য সরকার বড়সড় পরিবর্তন আনতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। শোনা যাচ্ছে এবার থেকে রাজ্যের সমস্ত বিসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটর পদে রাজ্যপালকে সরিয়ে দেওয়া হবে। সেখানে বসানো হবে রাজ্যেরই উচ্চ শিক্ষামন্ত্রীকে। এই বিষয়ে নবান্নের সবুজ সংকেতও পাওয়া গেছেয আগামী দিনে এই মর্মে আইনি প্রক্রিয়াও দিকেও এগিয়ে যাবে রাজ্য সরকার।
সূত্রের খবর এই প্রস্তাবেও নাকি সম্মতি দিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রিসভা। এই বিষয় বিধানসভা বিলও আনতে পারে রাজ্য সরকার। তবে রাজ্যপাল যদি বিলটিতে অনুমতি না দেন সেক্ষেত্র রাজ্যসরকার একটি অধ্যাদেশ জারি করে নতুন ব্যবস্থা কার্যকর করতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে বসানোর জন্য একই পন্থা নেওয়া হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যপাল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিদর্শ হিসেবে ডিগ্রি, ডিপ্লোমা , পুরষ্কার ও অন্যান্য সম্মান সনদ প্রদান অনুষ্ঠানের জন্য ইনস্টিটিউটের সমাবর্তনের সভাপতিত্ব করতে পারেন। কিন্তু ভিজিটর পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল তিনি এই অধিকারও হারাবেন।
তবে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শক হিসেহে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নিয়োগের যে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে তারও তীব্র সমালোচনা করেছে। বিরোধী দলগুলি বলেছে, শিক্ষাক্ষেত্রে স্বায়ত্ত্ব শাসিত প্রকৃতিকে নষ্ট করা হচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে রাজনীতিকরণ করা হচ্ছে। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন শিসক দল শিক্ষা ক্ষেত্রেও রাজনীতি করছে। এটা মোটেও সঠিক পন্থা নয়। সিপিএন নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও ছাড় দিচ্ছে না।