সংক্ষিপ্ত

সোমবার সন্ধ্যায় মাটিগাড়া এলাকার একটি জরাজীর্ণ বাড়িতে ওই ছাত্রীর দেহ পাওয়া যায়। পুলিশ বলেছে যে তারা ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই ব্যক্তি তাকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেছিল কিন্তু সে বাধা দিলে সে তাকে হত্যা করে।

শনিবার দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায় ১২ ঘন্টার বনধ ডাকা হয়েছে। শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় এক স্কুলছাত্রীকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত বিচার আদালতে বিচারের দাবিতে এই বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। বনধ সকাল ছটায় শুরু হবে এবং সন্ধ্যা ছটা পর্যন্ত চলবে। নবগঠিত গোর্খা সেবা সেনা এই বনধ ডেকেছে বলে খবর। বনধের ইস্যিকো সমর্থন করেছে কার্শিয়াং,দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এর ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনগুলি। বৃহস্পতিবার, এই ইস্যুতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) শিলিগুড়িতে ১২ ঘন্টা বন্ধ করে দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে।

সোমবার সন্ধ্যায় মাটিগাড়া এলাকার একটি জরাজীর্ণ বাড়িতে ওই ছাত্রীর দেহ পাওয়া যায়। পুলিশ বলেছে যে তারা ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই ব্যক্তি তাকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেছিল কিন্তু সে বাধা দিলে সে তাকে হত্যা করে। যে পাথর দিয়ে মেয়েটির ওপর হামলা করা হয়েছে সেটিও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তারা। মেয়েটি নেপালি-মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

গত সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ মাটিগাড়া থানা এলাকায় পরিত্যক্ত জঙ্গলে ঘেরা একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয় ওই ছাত্রীর দেহ। এলাকার লোকজনই দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন। এরপরই থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ আসে। স্কুলের ড্রেস দেখে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। যখন দেহটি উদ্ধার হয়, বীভৎস অবস্থায় ছিল ছাত্রীর মাথা। একেবারে থেঁতলানো, রক্তে ভাসছে।

তদন্তে নেমে সোমবারই এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। একটি সিসিটিভি ফুটেজ তদন্তকারীদের হাতে আসে। তাতে ধরা পড়ে, স্কুল ছুটির পর ওই ছাত্রীকে ওই যুবক তাঁর সাইকেলে বসিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। এরপরই দফায় দফায় শুরু হয় জেরা। আর তাতেই উঠে আসে নাবালিকার উপর ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ। তদন্তে আরও উঠে আসে, ঘটনার সময় ওই যুবক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।

এদিকে, ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা (বিজিপিএম) প্রধান অনিত থাপা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তার দল শনিবারের বনধকে সমর্থন করবে না বা এর বিরোধিতা করবে না। তিনি বলেন, যারা বনধ ডেকেছে তাদের বুঝতে হবে বিষয়টি বিচারাধীন।