সংক্ষিপ্ত

সিবিআইয়ের দাবি, ধৃত দিদারবক্স সিবিআই এবং ইডির সঙ্গে কোনও রকম সহযোগিতা করেননি। উল্টে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করেছেন।

সন্দেশখালির ঘটনায় ধৃত ৩ অভিযুক্তের ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল বসিরহাট মহকুমা আদালত। সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনায় ধৃত পঞ্চায়েত প্রধান গিয়াসুদ্দিন মোল্লা-সহ তিন জনকে ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতা ও তদন্তকে ভুল পথে চালিত করার অভিযোগ করেছে সিবিআই।

সিবিআইয়ের দাবি, ধৃত দিদারবক্স সিবিআই এবং ইডির সঙ্গে কোনও রকম সহযোগিতা করেননি। উল্টে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করেছেন। মঙ্গলবার সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, গত ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় সরাসরি যোগ রয়েছে গিয়াসুদ্দিন এবং দিদারবক্স মোল্লাদের।

সোমবার নিজ়াম প্যালেসে ডেকে ওই তিন জনকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। শেষমেশ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন তাঁদের ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে সিবিআই। তবে দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের পর বসিরহাট মহকুমা আদালত গিয়াসুদ্দিন, দিদারবক্স এবং ফারুক আকুঞ্জিকে ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বসিরহাট মহকুমা আদালতের বিচারক।

আদালতে সিবিআই দাবি করে ধৃতেরা প্রত্যেকেই শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ এবং তাঁদের আগেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। মঙ্গলবার তিন জনকে আদালতে তোলার পাশপাশি ওই মামলায় আর এক অভিযুক্ত বেড়মজুরের তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান সিদ্দিক মোল্লাকে নিজ়াম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

সিবিআইয়ের দাবি, গত ৫ জানুয়ারির পর থেকে শাহজাহান শেখকে ফারুক 'আশ্রয়' দিয়েছিলেন। আর সরবেড়িয়া-আগরহাটি পঞ্চায়েতের প্রধান গিয়াসুদ্দিনের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের অভিযোগ, গত ৫ জানুয়ারি শাহজাহানের বাড়িতে লোকজন জমায়েত করেন তিনি। তাঁর নির্দেশেই ইডি আধিকারিক এবং সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের ওপর হামলা করেন 'শাহজাহানের অনুগামীরা'।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।