লোকসভা ভোটের পর ভাঙড়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে আইএসএফ ছেড়ে তৃণমূলের যোগদান করছেন আইএসএফ সমর্থকরা।
বিধানসভা ভোটের আর বাকি মাত্র ১ বছর। তার আগেই ভাঙড়ে (Bhangarh) জমি হারাচ্ছেন নওশাদ সিদ্দিকী ( Naushad Siddiqui)। তেমনই বলছে ভাঙড়ের রাজনীতি। আবার ভাঙড়ে ভাঙন ইন্ডিয়ার সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ (ISF)-এর। এবার পোলেরহাটে ভাঙল নওশাদের দল। পোলেরহাট ২ অঞ্চল থেকে প্রায় ৫০০ জন আইএসএফ নেতা কর্মী যোগ দিল তৃণমূলে। বুধবার রাতে পাকাপোলের একটি অনুষ্ঠানে আইএসএফ অঞ্চল সভাপতি আব্বাস মোল্লা সহ প্রায় ৫০০ জন আইএসএফ কর্মী সমর্থক যোগ দেয় তৃণমূলে। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার হাত ধরেই যোগ দেয়। এদিন এই যোগদান অনুষ্ঠানে শওকত মোল্লা সহ উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা খাইরুল ইসলাম, মহাসিন গাজীসহ অন্যান্যরা।
কেউ ভয় দেখিয়ে আনেনি, তৃণমূলের উন্নয়নের প্রতি আস্থা রেখে যোগ দিয়েছি বলে জানিয়েছেন আব্বাস মোল্লা সহ অনান্য নেতা-কর্মীরা। যারা আজ তৃণমূলে ফিরল তাঁদের সবাইকে নিয়ে পোলেরহাট ২ ঐক্যবদ্ধভাবে তৃণমূল শক্তিশালী হবে বলে জানান ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। বর্তমানে তিনি ভাঙড়ের দায়িত্বে রয়েছে। তৃণমূল পুরোপুরি সরিয়ে দিয়েছে আরাবুল ইসলামকে।
লোকসভা ভোটের পর ভাঙড়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে আইএসএফ ছেড়ে তৃণমূলের যোগদান করছেন আইএসএফ সমর্থকরা। সে বিষয়ে কদিন আগেই আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী জানিয়েছিলেন ভয় দেখিয়ে তাদেরকে দলে টানা হচ্ছে। ভোটের সময় সকলেই আইএসএফেই ভোট দেবে।। সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন শওকত মোল্লা জানান, তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল ভোটে জয় পাবে ভাঙড়ে। কারা কি পাগালোর মত বলছে তাতে কিছু যায় আসে না। নওশাদ না শওকত কার কথা সঠিক হয় সেটাই এখন দেখান। যদিও তারজন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও একবছর।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
