সংক্ষিপ্ত

কাকদ্বীপের জনসভা থেকে তৃণমূলকে তুমুল আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন, ‘তৃণমূল এবং ইন্ডির সদস্যরা বাংলাকে উল্টো পথে নিয়ে যাচ্ছে। BJP-র প্রতি এখানকার মানুষদের ভালোবাসা TMC-র সহ্য হচ্ছে না। সেই ভয়ে কাণ্ডজ্ঞানহীন হয়ে গিয়েছে। কী সব কথা বলছে!'

চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বাজিমাত করল কে? তা জানতে স্রেফ আর কয়েকটা দিন ধৈর্য ধরতে হবে দেশবাসীকে। আগামী ৪ জুন ফলাফল প্রকাশের পরেই জানা যাবে দিল্লির ‘কুর্সি’ কে দখল করবে। তবে তার আগেই বাংলায় দাঁড়িয়ে বিরাট দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার কাকদ্বীপে সভা করতে দেখা যায় মোদীকে। মথুরাপুর, জয়নগর এবং ডায়মন্ড হারবারের প্রার্থীদের সমর্থনে এদিন সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই সভায় দাঁড়িয়েই একটি বিরাট দাবি করেন তিনি।

এদিন কাকদ্বীপের জনসভা থেকে তৃণমূলকে তুমুল আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন, ‘তৃণমূল এবং ইন্ডির সদস্যরা বাংলাকে উল্টো পথে নিয়ে যাচ্ছে। BJP-র প্রতি এখানকার মানুষদের ভালোবাসা TMC-র সহ্য হচ্ছে না। সেই ভয়ে কাণ্ডজ্ঞানহীন হয়ে গিয়েছে। কী সব কথা বলছে! বাংলার প্রতি ঘৃণায় ভর্তি তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে আর একটাই হাতিয়ার আছে , ‘এটা হতে দেব না’। মোদী উন্নয়নের যে কাজই করে তৃণমূল কংগ্রেস বলে, ‘এটা হতে দেব না’।

মোদী বলেন, আগামী ৪ জুন চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের ৬ মাসের মাথায় দেশের রাজনীতিতে বড় ‘ভূমিকম্প’ আসতে চলেছে। তাঁর কথায়, ‘আপনার একটা ভোট দেশের রাজনীতির দিশা বদলে দিতে পারে। ৪ জুনের পর আগামী ৬ মাসের মধ্যে দেশে একটা বড় রাজনীতিক ভূমিকম্প আসবে। বংশবাদী রাজনীতির ভরসায় চলতে থাকা কিছু দল নিজেরাই শেষ হয়ে যাবে। ওদের নিজেদের কার্যকর্তারাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। ওনারা নিজেরাও জানেন দেশ কোন দিকে এগোচ্ছে এবং ওনাদের দলের অবস্থাটা কেমন’।

আগামী ৬ মাসের মধ্যে দেশের রাজনীতিতে ‘ভূমিকম্প’ আসবে এমনটা দাবি করলেও উনি এই বিষয়ে আর বিশেষ খোলসা করেননি। ঠিক কী ধরণের ‘ভূমিকম্প’ আসতে চলেছে তা নিয়ে পরিষ্কার কিছু বলেননি মোদী।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।