সংক্ষিপ্ত

করোনার কারণে গত দু'বছর বন্ধ ছিল গাজন মেলা। এইবার নতুন করে শুরু হয়েছিল গাজন মেলা। এই মেলা দেখতে এসে এমন মর্মান্তিক ঘটনায় শোকাহত সকলেই। অন্যদিকে মৃতার পরিবার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছে।

গাজন মেলার শেষ দিনে ভয়াবহ দুর্ঘটনা বাঁকুড়ায়। নাগরদোলায় চুল আটকে মর্মান্তিক মৃত্যু এক তরুণীর। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায় মেলা দেখতে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল বাঁকুড়াবাসী। বাঁকুড়ার ঐতিহ্যবাহী এক্তেশ্বরের গাজন মেলা দেখতে এসেছিলেন প্রিয়াঙ্কা বাউড়ি। আনন্দ করে চেপেছিলেন নাগরদোলায়। তবে এই নাগরদোলায় চাপাই কাল হল প্রিয়াঙ্কার। নাগোরদোলার বেয়ারিং-এর খাঁজে চুল আটকে যাওয়ায় নাগরদোলা থেকে ছিটকে যান তরুণী। চোখের নিমেশে চুল ও মাথার খুলি থেকে উপড়ে যায় তরুণীর দেহ। ২৫ ফুট উপর থেকে মাটিতে ছিটকে পড়ে দেহের বাকি অংশ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। রাস্তাতেই মৃত্যূ হয় তরুণীর। পুলিশ সূত্রে জানা যায় মৃতার নাম প্রিয়াঙ্কা বাড়ুই। পার্শ্ববর্তী ভাদুল গ্রামের বাসিন্দা সে।

শুক্রবারই শেষ দিন ছিল বাঁকুড়ার ঐতিহ্যবাহী এক্তেশ্বর গাজন মেলার। স্বাভাবিকভাবেই ভিড় ছিল বেশি। পার্শ্ববর্তী ভাদুল গ্রাম থেকে পরিবারের সঙ্গে মেলা দেখতে এসেছিল প্রিয়াঙ্কাও। আনন্দ করে সবাই মিলে চেপেছিল নাগরদোলায়। এরপরই ঘটে বিপত্তি। প্রত্যক্ষদর্শীর জানাচ্ছেন, খোলা চুলেই নাগরদোলায় উঠেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। নাগরদোলা ঘুরতে শুরু করার পর পরই ধাতব বেয়ারিং-এর সঙ্গে আটকে যায় প্রিয়াঙ্কার চুল। সঙ্গে সঙ্গে আসন থেকে ছিটকে যায় প্রিয়াঙ্কা। নাগরদোলার ধাতব দণ্ডের সঙ্গে ঝুলতে থাকে প্রিয়াঙ্কা। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে চুল এবং মাথার খুলির উপরের অংশ শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রায় ২৫ ফুট উপর থেকে নীচে পড়েন প্রিয়াঙ্কা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। এরমধ্যেই শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে তাঁর। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ থেকে কলকাতায় পাঠানো হয় প্রিয়াঙ্কাকে। পথেই মৃত্যু হয় তরুণীর।

ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এক্তেশ্বর মন্দির কমিটি। করোনার কারণে গত দু'বছর বন্ধ ছিল গাজন মেলা। এইবার নতুন করে শুরু হয়েছিল গাজন মেলা। এই মেলা দেখতে এসে এমন মর্মান্তিক ঘটনায় শোকাহত সকলেই। অন্যদিকে মৃতার পরিবার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছে। বাঁকুড়া থানার তরফে শুরু হয়েছে তদন্ত।