সংক্ষিপ্ত

হাইকোর্টের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে বিজেপিকে মদত জোগানোর অভিযোগও তোলেন অভিষেক।

সম্প্রতি বিচারব্যবস্থাকে বেনজির আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। এমনকী হাইকোর্টের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে বিজেপিকে মদত জোগানোর অভিযোগও তোলেন অভিষেক। সেই তালিকায় বাদ যায়নি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নামও। এই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেছিলেন,'বিচারব্য়বস্থার একাংশ বিজেপিকে যেভাবে মদত দিচ্ছে, সমাজবিরোধীগুলোকে যেভাবে প্রোটেকশন দিয়ে সন্ত্রাসে মদত যোগাচ্ছেন তা অত্যন্ত বেদনা দায়ক এবং দুঃখজনক। জাস্টিস রাজাশেখর মান্থা এমন জাজমেন্ট দিচ্ছেন যে শুভেন্দু আগামী দিনে অপকর্ম করলে ব্য়বস্থা নেওয়া যাবে না। একজনের জন্য় পুরো বিচারব্য়বস্থা কলুষিত হচ্ছে, বিচারব্যবস্থা বেঙে দেওয়া হচ্ছে। ,কেউ আমার বিরুদ্ধে কনটেম্পট করবে। সত্য়ি কথা বলার জন্য় ব্য়বস্থা নিতে চাইলে নিতে পারে।'

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পঢ় থেকেই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যরাজনীতিতে। এই প্রসঙ্গে গর্জে ওঠেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। অভিষেকের মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন,'যারা কোর্টের নামে বাজে কথা বলে তাদের সম্মান করি না।' একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একেবারে উলটো কথা বললেন তিনি। তাঁর কথায়,'মুখ্যমন্ত্রী এই ধরনের বাজে কথা বলেন না। সুপ্রিমো কোর্টে এলে বিচারপতিদের সঙ্গে কথা বলেন। বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেন না। যে কোনও দ্বায়িত্বশীল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই এই ধরনের মন্তব্য করেন না।

প্রসঙ্গত, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে রীতিমত ধমক খেলেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি গৌতম পাল। তাঁর বেতন বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ৫০ হাজার টাকার জরিমানা দেওয়ার কথাও বলেন বিচারপতি। তাঁর অভিযোগ নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালতের নির্দেশ মানেননি গৌতম পাল। তারই জেরে সোমবার তাঁকে জরুরি তলবও করা হয় আদালতে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যে কার্যত ভেঙে পড়েছে গৌতম পাল। তিনি 'বেতন বন্ধ না করার' আবেদনও জানিয়েছেন।