সংক্ষিপ্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিজেপি চাকরি খেকোর পাল্টা জবাব দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বললেন, ওনার লজ্জা নেই।

 

কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে চারকি দিয়েছে রাজ্যের প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকার। ভোটের মধ্য়েই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায়দান করেছে কলকাতা হাইকোকর্ট। লোকসভা নির্বাচনে সেটাই একটি বড় ইস্যু। হাইকোর্টের রায় নিয়ে প্রায় প্রত্যেকটি জনসভাতেই বিরোধীদের নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনও তাঁর অন্যনাথ হয়নি। এদিন মমতা বিজেপিকে চাকরিখোকো বলেন। পাল্টা মমতার মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে তাঁকে আক্রমণ করেছে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে চিহ্নিত করেছেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যঃ

পিংলার জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসসির রায় নিয়ে সরাসরি নিশানা করেন বিরোধীদের তিনি বলেন, 'গ্রামেগঞ্জে মানুষ খেকো বাঘের কথা শোনা যায়। কিন্তু চাকরিখেকো বিজেপিকে দেখেছেন। একসঙ্গে হাজার হাজার চাকরি খেয়ে নিয়েছে। বলেছে চার সপ্তাহের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে হবে ১২ শতাংশ সুদে। যিনি রায় দিয়েছেন তার যদি সব চাকরি চলে যায় আর সব টাতা ফেরত দিতে হয় তাহলে আপনি দিতে পারবেন তো! যখন ইচ্ছে চাকরি খেয়ে নেবে। ' পিংলার সভা থেকে শুধু বিজেপিকেই নয়,মমতা আক্রমণ করেছিলেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে। মমতা বলেন, 'চাকরি খাওয়ার প্রথম সই করার লোক তমলুকের প্রার্থী হয়েছেন।'

পাল্টা উত্তর দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ঃ

তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় একজন দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ। তাঁকে আমি এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলে আর স্বীকার করি না। চাকরি খাওয়া হয়েছে এই কারণে আপনারা চাকরি বিক্রি করেছেন বহু মানুষের কাছে। তারপর কারা আসল ক্যান্ডিডেট ও কাদের কাছে চাকরি বিক্রি করেছেন সেই সংক্রান্ত উপযুক্ত তালিকা কোর্টের কাছে দেননি। যদিও আমার হাত থেকে এই তদন্তটা শুরু হয়েছিল। তদন্ত সুপ্রিম কোর্ট অবধি যায়। ডিভিশন বেঞ্চ সব জেনে বুঝে ১৭টি কারণ দেখিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই ১৭টি পয়েন্টের একটির উত্তর দিতে পারবেন? দিন না আমরা শুনতে চাই। তিনি যদি না পারেন তবে তার বিদ্যেবুদ্ধির অভাব আছে বলেই আমি মনে করি। ওনার ওখানে সৌগত রায় রয়েছে, ভদ্রলোক পড়াশুনা করেন। তাদের দিয়ে ১৭টি পয়েন্টের উত্তর দিন , তাহলেই হবে। কতটা জন আর কতটা দুধ সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। প্থম চাকরি খাওয়া লোক এসব বলে আর কি লাভ! আপনি তো প্রথম চাকরি চুরি করার লোক। আপনি ও আপনার দল। এটা ভাবতে আপনার একটুও লজ্জা হয় না কারণ আপনার লজ্জা নেই। সেই জন্যই আপনি এই কথা বলছেন। '