সংক্ষিপ্ত
বুধবার বিকেলে রামনগর থেকে ক্যানিং হয়ে কুলতলি, জয়নগর ছুঁয়ে মন্দিরবাজারের দক্ষিণ বিষ্ণুপুর গঙ্গামেলার মাঠে আসবেন তিনি। বৃহস্পতিবার রায়দিঘি, মন্দিরবাজার হয়ে যাবেন ডায়মন্ড হারবারে।
‘নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা সফরে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ভাঙড়ের চণ্ডীপুর থেকে কর্মসূচির সূচনা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চার দিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে শুক্রবার নামখানার ইন্দিরা ময়দানে কর্মসূচি শেষ হবে তাঁর। এই প্রেক্ষিতে অভিষেকের কর্মসূচি উপলক্ষে নিরাপত্তায় বাড়তি নজর রাখছে জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার বিকেলে চণ্ডীপুর থেকে ভাঙড়ের ঘটকপুকুরে আসবেন অভিষেক। সেখান থেকে আসবেন সোনারপুর দক্ষিণের চম্পাহাটি তেমাথায়। তার পরে, হেঁটে পৌঁছবেন বারুইপুর পূর্বের ফুলতলা মোড়ে। সেখানে দুর্গামন্দিরে পুজো দিতে পারেন অভিষেক। বারুইপুরের রামনগরে তাঁর রাত্রিবাসের কথা। বুধবার বিকেলে রামনগর থেকে ক্যানিং হয়ে কুলতলি, জয়নগর ছুঁয়ে মন্দিরবাজারের দক্ষিণ বিষ্ণুপুর গঙ্গামেলার মাঠে আসবেন তিনি। বৃহস্পতিবার রায়দিঘি, মন্দিরবাজার হয়ে যাবেন ডায়মন্ড হারবারে। শুক্রবার যাবেন কাকদ্বীপে। সেখানে একটি কালীমন্দিরে অভিষেকের পুজো দেওয়ার কথা। তার পরে ‘নবজোয়ার যাত্রা’ পৌঁছবে ইন্দিরা ময়দানে। তৃণমূল সূত্রে খবর, ৩০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবেন অভিষেক।
একদিন আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয়ের জনযোগ যাত্রা ঘিরে রীতিমত উত্তাল হয়ে ওঠে ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ি। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। আহতরা হাসপাতালে গেলে সেখানেও দুই পক্ষের সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠাকুরবাড়ি যাওয়াকে কেন্দ্র করে যে সংঘর্ষে বাধে তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে তা শেষ হয় স্থানীয় হাসপাতালে। দুই পক্ষের আহতরা চিকিৎসা করাতে গেলে একে অপরের ওপর চড়াও হয়।
তাই প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিষেকের কর্মসূচিতে কোনও অশান্তি যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে জেলার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন রাজ্য পুলিশের কর্তারা। অভিষেকের যাত্রাপথে, রাস্তার দু’পাশে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
বারুইপুর পুলিশ জেলার এক আধিকারিক বলেন, “মনোনয়ন জমা চলছে। ব্লক কার্যালয় থেকে এক কিলোমিটার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। ফলে, বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করতে হচ্ছে সেখানে। স্পর্শকাতর এলাকাতে টহলও দিতে হচ্ছে। এ সবের মধ্যে এই কর্মসূচি পুলিশের চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ প্রয়োজনের তুলনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পুলিশকর্মী কম বলে দাবি জেলা পুলিশ আধিকারিকদের একাংশের। বাড়তি পুলিশকর্মী জোগাড় করতে নাজেহাল হতে হচ্ছে।”
এদিকে সূত্রের খবর পূর্ব নির্ধারিত রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকার জেরে হাজিরা থেকে অব্যাহতি চেয়ে ইতিমধ্যেই ইডিকে চিঠি দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল ১১ টায় তাঁকে তলব করা হয়েছিল। সেই সময় তিনি ফের একবার হয় প্রতিনিধি মারফত অথবা ইমেল মারফত এই বিষয়টি আরেকবার ইডি আধিকারিকদের অবগত করে দেন।