- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- অভিষেকের লিপস অ্যান্ড বাউন্ডেসের কত কোটি বাজায়েপ্ত? জানুন নিয়োগ দুর্নীতি জড়িয়ে পড়া সংস্থা তৈরি কথা
অভিষেকের লিপস অ্যান্ড বাউন্ডেসের কত কোটি বাজায়েপ্ত? জানুন নিয়োগ দুর্নীতি জড়িয়ে পড়া সংস্থা তৈরি কথা
- FB
- TW
- Linkdin
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা
নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নাম। এই সংস্থা তৈরি হয়েছিল ২০০৯ সালে। ২০১২ সালে সংস্থাটিকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি করা হয়েছিল। ডিরেক্টর ছিলেন অভিষেক।
লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কাজ
‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’ কনসালটেন্সি সার্ভিস, শেয়ার ট্রেডিং, ব্র্যান্ডিংয়ের কাজ করত। যদিও বর্তমানে এটি মিনারেল ওয়াটার তৈরি করে। কারখানা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাখরাহাটে।
লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের জমিজমা
একটি অনুষ্ঠানে অভিষেক জানিয়েছেন সংস্থার জমি কেনা হয়েছিল ২০০১-০২ সালে। রাজ্যে তখন বাম জমানা। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৩।
অভিষেকের ইস্তফা
অভিষেক নিজেই জানিয়েছেন ২০১৪ সলে ভোটে দাঁড়ানোর সময় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর পদ থেকে ইস্তফা দেন। তারপর থেকেই সংস্থার কর্তৃত্ব তাঁর মা ও স্ত্রীর হাতে। এখন তিনি সংস্থার সিইও।
নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যোগ
রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্র নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে গেছে অভিষের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নাম। এই সংস্থার কর্মী সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুকে গ্রেফতারকরেছে। তদন্তদের অনুমান কালীঘাটের কাকুর মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতি বেআইনি টাকা তোলা হত।
অন্য দুর্নীতির সঙ্গে যোগ
গরু পাচার ও কয়লা পাচার মামলাতেও লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার নাম জড়িয়ে গিয়েছে। যদিও এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন অভিষেক। তাঁকে একাধিকবার তদব করা হয়েছে। যদিও তিনি বারবারই বলেছেন, দুর্নীতির সঙ্গে যোগ নেই। তাঁকে রাজনৈতিকভাবে হেনস্থা করার জন্যই বিজেপি সরকার এই কাজ করছে।
কোটি কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত
তদন্তকারী সূত্রের খবর লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস থেকে এখনও পর্যন্ত কয়েক কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গত সপ্তাহেই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ১৩ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।
বাাজেয়াপ্ত সম্পত্তি
তদন্তকারীরা কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছিল এপ্রিলে মাসে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ১৪৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল। যার বর্তমান বাজারমূল্য ২৫০ কোটি টাকা। তার আগে গত জানুয়ারিতে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সাড়ে ৭ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা গয়েছিল। যার মূল্য ১৪৮ কোটি টাকা।
দুর্নীতির ইস্যুতে পরিবারকে জিজ্ঞাসা
দুর্নীতি ইস্যুতে অভিষেকের পাশাপাশি তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। অভিষকের স্ত্রী, মা , বাবাকেও তলব করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। অভিষেক ও তাঁর স্ত্রীর বিদেশে যাওয়ার ওপর একটা সময় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় প্রশাসন। যদিও আদালতের হস্তক্ষেপে সমস্যার সাময়িক সমাধান হয়েছে।
অভিষের হুংকার
একাধিকবার অভিষেক জানিয়েছেন তিনি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি আরও বলেছেন, ‘‘পারলে আমাকে গ্রেফতার করুক না! কোথাও একটা সামান্য কাগজও দেখাতে পারবে যে, আমি কোনও সুপারিশ করেছি? কাউকে চিঠি লিখেছি?’’ সেই সূত্রেই আরও এক বার অভিষেক দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে এক পয়সারও দুর্নীতি কেউ প্রমাণ করতে পারবেন না। যা হচ্ছে, তার সবটাই রাজনৈতিক কারণে করা হচ্ছে।