সংক্ষিপ্ত
আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করতে চাই আপনি কী ধরনের গণতন্ত্র চান? আজ আপনার হাতেও রক্ত লাগল। বললেন অধীর চৌধুরী।
রক্তে রাঙা পঞ্চায়েত ভোট। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেও রক্ত লাগল। পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা নিয়ে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর। তিনি আরও বলেন, তাঁর জেলা মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি মোটেও সন্তোষজনক নয়, রীতিমত উত্তেজনাপূর্ণ। শুক্রবার রাত থেকেও ভোট সন্ত্রাসে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। শেখানে প্রায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অধীর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। তিনি বলেন, 'আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করতে চাই আপনি কী ধরনের গণতন্ত্র চান? আজ আপনার হাতেও রক্ত লাগল। বাংলায় এরকম রক্তাক্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের কোনও প্রয়োজন ছিল না।'
অধীর চৌধুরীর অভিযোগ বাংলায় এর আগে আর কোনও দিন এমন রক্তাক্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়নি। পঞ্চায়েত ভোটে রক্তারক্তি হানাহানির চূ়ড়ান্ত হয়েছে। তিনি বলেন ভোট লুঠ হচ্ছে। সাধারণ ভোটারদের ওপর পুলিশ লাঠি চার্জ করছে। আর যারা লোককে খুন করেছে সেই খুনিদের পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে এসকট করে নিয়ে যাচ্ছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে বলেও অভিযোগ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
লালগোলায় সিপিএম কর্মীকে সকলের সামনেই থেঁতলে খুন করা হয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রথম তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা সিপিআইএম কর্মীদের ওপর চড়াও হয়। তারপরই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পুলিশ বা কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উদাসীন ছিল । সেই সুযোগ নিয়েই সিপিআই(এম) কর্মীকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। মুর্শিদাবাদে এপর্যন্ত ভোটে হিংসার বলি পাঁচ জন। দুপুরে নওদায় এক কংগ্রেস কর্মীকে খুন করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ। শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদে খুন করা হয়েছে তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত বেলডাঙার বাসিন্দা বাবর আলিকে। অভিযোগ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। প্রত্যক্ষদর্শরা জাবিয়েছেন, রাতের দিকে স্থানীয় চায়ের দোকানে দলীয় কর্মীরা বসেছিলেন। সেই সময় এক দল দুষ্কৃতী তাদের ওপর চড়াও হয়। ধারালো অস্ত্রের কোপ বসায়। আহত অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে বাবরকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ভোটের দিন সকালে মৃত্য হয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী রেজিনদরের নারিজপুরের ইয়াসিন শেখের। খড়গ্রামে একটি পরিত্যক্ত জমি থেকে উদ্ধার হয়েছে অপর তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সাবিরুদ্দিন শেখের দেব। অভিযোগ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। যদিও কংগ্রেস এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। বলেছে দলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের কারণেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে।