সংক্ষিপ্ত
ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও প্রথমে কোনও এফআইআর দায়ের করেনি বলে অভিযোগ। এদিকে, অসহায় পরিবার কোনওরকম লিখিত অভিযোগ করেনি, তাই সালিশি সভার মাধ্যমেই সমস্যা সমাধান করা হয়।
বীরভূমের গোপালনগর গ্রামে মধ্যযুগীয় ঘটনা। বাড়িতে ঢুকে নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযোগ ওঠে। গ্রামের সালিশি সভায় মাত্র ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে গোটা ঘটনা মিটমাট করে নেওয়ার পরামর্শ দেন পঞ্চায়েত প্রধান। সুবিচার না পেয়ে ওই কিশোরী লজ্জায় বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে। তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। শনিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় এলাকাজুড়ে। স্থানীয় কসবা পঞ্চায়েত এবং পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা।
ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও প্রথমে কোনও এফআইআর দায়ের করেনি বলে অভিযোগ। এদিকে, অসহায় পরিবার কোনওরকম লিখিত অভিযোগ করেনি, তাই সালিশি সভার মাধ্যমেই সমস্যা সমাধান করা হয়। গোটা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট এলাকার নেতাদের তরফে ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণকারীর শাস্তির দাবি না তুলে কার্যত টাকার বিনিময়ে গোটা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে স্থানীয় প্রশাসন বলে অভিযোগ এলাকার মানুষদের। অভিযুক্ত যুবকের পরিচয় প্রকাশ করেছে পুলিশ। তার নাম রাজেন মুর্মু বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি আদিবাসী কিশোরীকে ভোরবেলায় ফাঁকা ঘর পেয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে রাজেন মুর্মু নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এরপরই গ্রামে বসানো হয় পাঁচ সালিশি সভা। সেই সালিশি সভায় গোটা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পঞ্চায়েত প্রধান এবং উপপ্রধানের তরফ থেকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। পরিবারের দাবি, লজ্জায় বিষ খেয়ে তারপরই আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই কিশোরী। বর্তমানে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে ওই নাবালিকা।
পরিবার সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। এই ঘটনায় অভিযুক্ত রাজেন মুর্মুও গা ঢাকা দিয়েছে। শনিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় এলাকাজুড়ে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন নীচের লিংকে