BJP  Bengal News: বিধানসভা নির্বাচনের এখনও বেশ কিছুটা সময় বাকি। তার আগে এখন থেকে বঙ্গে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি শুরু করে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে কেন্দ্রের প্রথম সারির ডেপুটিরা। কী হবে ভোটের ফল? বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…

WB BJP News: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে থেকেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। এখন থেকেই ময়দানে নেমে পড়েছে শাসক-বিরোধী উভয় শিবিরই। কারণ, গত চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একের পর এক সভা করেও সেভাবে ভালো ফল করতে পারেনি বঙ্গ বিজেপি।

যারফলে স্বাভাবিক ভাবেই কমেছে বিজেপির আসন সংখ্যা। উত্তরে কিছুটা আসন ধরে রাখতে পারলেও দক্ষিণবঙ্গে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু সেই অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের অনেক আগেই বাংলায় জনসভা শুরু করেছেন নমো। এতকিছুর পরেও দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, এত সভা করে সত্যিই লাভ হবে তো! 

ছাব্বিশের বিধানসভা ভোট শুরু হতে এখনও দেরি আছে। ঘোষণা হয়নি ভোটের দিনক্ষণ। আর তার অনেক আগে থাকতেই বাংলায় জনসভা শুরু করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কারণ, এবার বিধানসভা ভোটে মোদীকে মুখ করেই রাজ্য বিজেপি নেতারা ভালো ফলের আশা করছেন। কিন্তু অতীতের রেকর্ড অন্য কথা বলছে। দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে, মোদীকে দিয়ে একের পর এক সভা করিয়ে আদেও কোনও লাভ হচ্ছে কী? 

বঙ্গ বিজেপির চব্বিশের লোকসভা ভোটে এই রাজ্যে ২৩টি জনসভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ১২টি কেন্দ্রেই হার হয়েছিল বিজেপির। আর জয় হয়েছিল ৭টি আসনে। জয় পাওয়া আসনগুলির মধ্যে ৫টি কেন্দ্রই উত্তরবঙ্গের। যদিও উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে হার হয়েছিল বিজেপির। এখানেও সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

 দক্ষিণবঙ্গের বর্ধমান-দুর্গাপুর, কৃষ্ণনগর, বোলপুর, হাওড়া, আরামবাগ, হুগলি, বারাকপুর, বারাসাত, ঝাড়গ্রাম, যাদবপুর এবং মথুরাপুর কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী সভা করার পরও সেখানে খাতা খুলতে পারেনি বিজেপি। দক্ষিণবঙ্গে শুধু পুরুলিয়া ও বিষ্ণুপুরে জিতেছে বিজেপি। কাজেই লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে ম্যারাথন প্রচার করিয়েও সেরকম লাভ হয়নি পদ্মশিবিরের। উল্টে কমেছে আসন সংখ্যা। বাংলা নিয়ে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে ভাল ফল করবে বিজেপি। শুধু তাই নয়, যে চার রাজ্যে আসন বাড়ানোর টার্গেট নিয়েছিলেন মোদী—শাহরা, সেই চার রাজ্যের মধ্যে ছিল বাংলাও।

এই রাজ্যে উত্তর কলকাতায় একটি রোড শোও করেন মোদী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই খাটুনি কার্যত মাঠে মারা গেল। চব্বিশের ভোটে বাংলায় মুখ থুবড়ে পড়েছিল বিজেপি। অতীতের রেকর্ড দেখেই ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটেও প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে লাগাতার সভা করালেও ভোট বাক্সে বিজেপি কতটা লাভ পাবে তা নিয়ে দলের মধ্যে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। এবারও আলিপুরদুয়ার দিয়ে প্রধানমন্ত্রী সভা শুরু করেছেন। তারপর দুর্গাপুর ও দমদমে সভা করেছেন। এবার প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে আরও ২৫ থেকে ৩০টি সভা করানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এরই মধ্যে জনসংযোগকে আরও বাড়াতে বিজেপির তরফে ফুটবল খেলাকে হাতিয়ার করার ভাবনা চলছে। জেলায় জেলায় মোদী কাপেরও পরিকল্পনা রয়েছে।

এই বিষয়ে দলেরই এক নেতা জানিয়েছেন যে, বঙ্গে গেরুয়া শিবিরের নিচুতলায় সাংগঠনিক অবস্থা একেবারে তলানিতে। অব্যাহত আদি-নব্য কোন্দল। ফলে এই পরিস্থিতিতে মোদীকে মুখ করে মাঠে নামলেও বিশেষ লাভ হবে না। বঙ্গ বিজেপি নেতাদের অনুরোধে ছাব্বিশের ভোট প্রচারে আগে থেকে মোদী মাঠে নেমে পড়লেও, এবারও তাঁর খাটুনি কার্যত মাঠে মারা যাবে বলেই মনে করছে দলের পুরনো নেতারা। গত চব্বিশের লোকসভা ভোটের রেকর্ড তুলে ধরছেন তাঁরা। তবে এখন দেখার ভোটের আবহে মোদী-শাহের ঘনঘন বঙ্গ সফর বিজেপির পালে কতটা হাওয়া যোগায়। 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।