সংক্ষিপ্ত
আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের কুকীর্তির পর্দা ফাঁস ইতিমধ্যেই ফাঁস হয়েছে। কিন্তু এবার সামনে এল সন্দীপ ঘোষের গার্হ্যস্থ হিংসার ভয়াবহ তথ্য। সন্দীপের নৃশংস অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পায়নি তাঁর স্ত্রীও। সন্দীপ ঘোষের গার্হস্থ্য হিংসার অত্যাচারের কথা শুনলে আপনিও শিউরে উঠবেন।
ইতিমধ্যেই সন্দীপ ঘোষকে আটক করেছে সিবিআই। তাঁকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়েছে তদন্তকারীরা। মঙ্গলবারই কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে ছুটিতে পাঠিয়েছে। নতুন কর্মসংস্থান ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও যোগ দিতে দেয়নি পড়ুয়ারা। এই অবস্থায় সামনে এল সন্দীপ ঘোষের সম্পর্কে ভয়ঙ্কর তথ্য। প্রতিবেশীরা জানিয়এছে, সন্দীপ ঘোষ তাঁর স্ত্রীর পেটে সজোরে লাথি মেরেছিলেন। তাও আবার সন্তানের জন্ম দেওয়ার মাত্র ১৪ দিনের মাথায়। স্ত্রী লাথি খেয়ে এতজোরে চেঁচিয়ে উঠেন যে পাশের বাড়ির লোকজন ছুটে আসে। তাঁরাই হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেই সময় দেখা যায় সন্দীপের স্ত্রীর সেলাই ফেটে গিয়েছে। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছে সেই সময় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারাসতের মল্লিকবাগানে থাকতেন।
তারপরই বারাসতের বাড়িতে যাতায়াত কমিয়ে দেয় সন্দীপ। তারপর বাড়িও বিক্রি করে দেয়। কিন্তু বারাসতে থাকার সময় একটি নার্সিংহোমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। বেআইনিভাবেও রোজগার করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বাড়িতেও বসে রোগী দেখে অতিরিক্ত টাকা রোজগার করতেন সন্দীপ।
বর্তমানে সন্দীপ তৃণমূলের ঘনিষ্ট। ২০২১ সাল থেকে তিনি আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ। ন্যাশালান মেডিক্যাল কলেজ থেকে পদোন্নতির পর তিনি আসেন আরজি করে। যাইহোক সন্দীপের আচরণ নিয়ে যেমন প্রতিবেশীরা প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁর মায়ের আচরণ নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, সন্দীপের স্ত্রীকে নিয়ে তারা যখন হাসপাতালে গিয়েছিলেন তখন তাঁর সদ্যোজাত সন্তানকেও তারা নিয়ে যায়। কিন্তু সেই সময় সন্দীপের সন্তানের কোনও জামা তাঁর মা দিতে চায়নি। সন্দীপ এই ব্যাপারেও উদাসীন ছিল।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।