আবাস যোজনার টাকা নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ উপভোক্তাদের। এমনকি এক বৃদ্ধার টাকা ঢুকতেই টিপছাপ নিয়ে টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
আবাস যোজনার (Awas Yojana) টাকাতেও দুর্নীতি! আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকতেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠল মালদার (Malda) হরিশ্চচন্দ্রপুরে। কারও জন্য দশ হাজার, তো কারও জন্য মূল্য নির্ধারণ পনেরো হাজার। দাবির টাকা না দিলে পরবর্তী কিস্তির টাকা ঢুকবে না বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। আবার উপভোক্তাদের বোঝান হচ্ছে সেই কাটমানির টাকা দিতে হবে ব্লকের লোককে। পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর এমন ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানের নিউজ বাংলা।
গ্রাউন্ডজিরো তে গিয়েও দেখা গেল আবাস যোজনার টাকা নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ উপভোক্তাদের। এমনকি এক বৃদ্ধার টাকা ঢুকতেই টিপছাপ নিয়ে টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা দেখে ভয়ে ফিরিয়ে দিলেন স্লিপ। টাকা চেয়েছেন সেটা নিজের মুখে আবার স্বীকার করে নিলেন পঞ্চায়েত সদস্যার ওই গুণধর স্বামী। যদিও স্বামীর কীর্তি মানতে নারাজ স্ত্রী। কংগ্রেস পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতে দুর্নীতির এই অভিযোগ আসতেই আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপি। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বড়ই গ্রাম পঞ্চায়েতের গহিলা গ্রামের ঘটনা। ওই বুথের কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যা নিরুপমা দাসের(রায়) স্বামী সুপেন রায়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। টাকা চাওয়ার তারই এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। এলাকায় বহু উপভোক্তার অভিযোগ প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকতেই কারোর কাছে তিনি ১০ হাজার টাকা কাটমানি চাইছেন আবার কারোর কাছে ১৫ হাজার।
উপভক্তাদের প্রশ্ন একে তো এক লাখ কুড়ি হাজার টাকায় বর্তমান সময়ে পাকা বাড়ি হয় না। তার মধ্যে যদি কাটমানি দিতে হয় তবে তারা কি ভাবে ঘর করবে। এমনকি ডুমরি রায় নামে এক দুস্থ বৃদ্ধার একাউন্টে টাকা ঢুকতেই তাকে জোর করে স্লিপে টিপ ছাপ নেওয়া হয়। উদ্দেশ্য ছিল সিএসপি থেকে টাকা তুলে নেওয়ার। যদিও পরবর্তীতে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা দেখে সেই স্লিপ ফেরত দিয়ে দেন।এক সময় তৃণমূল পরিচালিত বড়ই গ্রাম পঞ্চায়েতে বন্যা-ত্রাণ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল প্রধান। সেই দুর্নীতির কারণে তৃণমূলকে গত পঞ্চায়েত ভোটে প্রত্যাখ্যান করে মানুষ। তারপর কংগ্রেস সিপিএম জোট ক্ষমতায় আসে। সিপিএমের দাবি পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় নবান্ন থেকে বুথ পর্যন্ত দুর্নীতি করছে রাজ্য সরকার। তাই সেখানে থেকে সদস্যরা বাধ্য হচ্ছে। বিজেপির কটাক্ষ কংগ্রেসের গর্ভ থেকে তৃণমূলের জন্ম। তাই দুজনেই দুর্নীতিতে সিদ্ধহস্ত। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
