আরজি কর কাণ্ডে তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল গ্রেফতার। অমিত মালব্যর অভিযোগ, প্রমাণ লোপাটে কলকাতার নগরপালেরও ভূমিকা ছিল। সিবিআই তদন্তের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য।

আরজি কর কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। শনিবার রাতে তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল আরজি করে চিকিৎসক তরুণী খুন ও ধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার করে সিবিআই। তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেব বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তাঁর টুইটার পোস্ট ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে। অনেকেই মনে করছে এবার সিবিআই স্ক্যানারে রয়েছে কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল। ইতিমধ্যেই আন্দোলনকারীরা স্লোগান তুলেছে, 'টালা থানার ওসির পর এবার কার পালা'।

অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টে লিখেছেন, 'সিবিআই টালা থানার অফিসার ইনচার্জ অভিজিৎ মণ্ডল ও আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে। তরুণী চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের প্রমাণ পাচারের অভিযোগে।' সেই পোস্টেই অমিত মালব্য কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েলের প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, 'কলকাতা পুলিশের কমিশনারও মৃত ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করতে ও অপরাধ ধামাচাপা দিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরবর্তী লাইনে থাকতে পারেন।' অমিত মালব্যের এই পোস্টকে কেন্দ্র করেই বিনীত গোয়েলের গ্রেফতারির জল্পনা তুঙ্গে। কারণ ইতিমধ্যেই সিবিআই সুপ্রিম কোর্ট আরজি কর খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডে তথ্য প্রমাণ নষ্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে। নমুন সংগ্রহ থেকে ময়না তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।

Scroll to load tweet…

অমিত মালব্য আরও বলেছেন, অভিজিৎ মণ্ডল সেই ব্যক্তি যিনি এতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপদ আশ্রয়ে ছিলেন। ওসিকে যাতে সিবিআই গ্রেফতার করতে পারে সেই কারণে ওসি হাসপাতালে ভর্তি হতে চেয়েছিল। কিন্তু রাজ্যের হাসপাতালগুলি তাঁকে ভর্তি নিতেও অস্বীকার করেছিল। শেষপর্য মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হস্তক্ষেপে ভর্তি হতে পারেন। তিনি আরও বলেছেন, প্রতিবাদী জুনিয়র ডাক্তাররা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে নৃশংস অপরাধটি প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির ফল, যা বাংলার জনস্বাস্থ্যকে ধ্বংস করেছে।

অমিত মালব্য তাঁর অন্য একটি পোস্টে কালীঘাটে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বৈঠক ভেস্তে যাওয়া নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, ' জুনিয়র ডাক্তারদের ২ ঘণ্টা তাঁর দরজার সামনে বৃষ্টির মধ্যে অপেক্ষা করতে বাধ্য করেছিলেন। তারপর দেখা করতে অস্বীকার করেন।'

Scroll to load tweet…

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।