সংক্ষিপ্ত

দলের কোন্দল আর সংগঠন সামলাতে জানুয়ারি থেকে অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডা- দু, তিনমাস পরপরই আসবেন এ রাজ্যে। শাহ ও নাড্ডার লাগাতার বঙ্গ সফরের বিষয়টি দিল্লির তরফে দলের রাজ‌্য শাখাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে যে বিজেপির ঝড় উঠেছিল তা দেখে অনেকেই মনে করেছিল যে হয়তো এবার ক্ষমতাসীন হবে বিজেপিই। কিন্তু ফলাফলে দেখা গেছিলো তার উল্টোটাই। বিজেপি এই মুখ থুবড়ে পড়ার কারণ হিসেবে অনেকেই তখন বলেছিলেন যে জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা বাঙালি হলেও বিজেপি কোথাও বাঙালি -মননের সঙ্গে একাত্ম হতে পারছেন না। তাই বাংলার মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে না বিজেপি। তারপর বাংলায় লাগাতার সফর করেছেন একের পর এক বিজেপি নেতা। সেই প্রক্রিয়াই অব্যাহত থাকবে আগামী বছরেও। শোনা যাচ্ছে যে দলের কোন্দল এবং সংঘঠন সামলাতে জানুয়ারী থেকে অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডা এবার দু- তিন মাস অন্তর অন্তরই আসবেন বাংলায়।শাহ ও নাড্ডার লাগাতার বঙ্গ সফরের বিষয়টি দিল্লির তরফে দলের রাজ্য শাখাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। জানা গেছে এবার ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রেই যাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি।প্রধানত বঙ্গ বিজেপির সামগ্রিক পরিস্থিতি বুঝতেই এমন উদ্যোগ নিচ্ছেন তারা।

আগামী ৭ জানুয়ারি রাজ্যে আসছেন জে পি নাড্ডা। একাধিক লোকসভা কেন্দ্রে তাঁর কর্মসূচি রয়েছে। একাধিক সাংগঠনিক বৈঠকের পাশাপাশি দলীয় কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজও সারবেন। আবার ন্যাশনাল লাইব্রেরি অডিটোরিয়ামে সভা রয়েছে তাঁর। দলীয় সূত্রে খবর, ৭ ও ৮ জানুয়ারি দু’দিন বাংলায় থাকার কথা নাড্ডা। এরপর জানুয়ারির শেষ কিংবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে অমিত শাহ আসবেন।এই কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নিজেই।

কিছুদিন আগেই বঙ্গ সফরে এসে বিজেপির প্রধান কার্যালয় ৬ নং , মুরলীধর সেন স্ট্রিট থেকে এক বৈঠকের মাধ্যমে সংঘঠন শক্ত করার বার্তা দেন তিনি। অভ্যন্তরীণ কোন্দল ছেড়ে বিভিন্ন বুথে বুথে গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলা বা জনসংযোগ বাড়ানোর আদেশ দেন তিনি। বিজেপি বাংলা দখলের পরিকল্পনা যে বেশ আঁট -ঘাঁট বেঁধেই করছেন তা বোঝা গেছে স্পষ্ট।