সংক্ষিপ্ত

সন্দেশখালিতে শাহজাহানের জমানা শেষ হতে দেখেই, প্রতিবাদে সুর চড়াচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এলাকায় কার্যত 'লুঠতরাজ-দাদাগিরি' চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল নেতা ও তার সঙ্গীরা।

সন্দেশখালির 'সন্ত্রাস' এখন জেলে। শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ উত্তম সরদার, শিবু হাজরারা এখন শ্রীঘরে। এবার সন্দেশখালির মতোই বিচার চেয়ে পথে নেমেছে মিনাখাঁ। উত্তর ২৪ পরগণার এই এলাকা এবার তৃণমূলের অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে চাইছে। সেখানেও ওই একই কায়দায় জমি দখলের অভিযোগ। সন্দেশখালির আগুনে প্রতিবাদ দেখে এবার মিনাখাঁর জমি-প্রতারিতরাও 'ন্যায়' চেয়ে সোচ্চার হয়েছেন।

সন্দেশখালিতে শাহজাহানের জমানা শেষ হতে দেখেই, প্রতিবাদে সুর চড়াচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এলাকায় কার্যত 'লুঠতরাজ-দাদাগিরি' চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল নেতা ও তার সঙ্গীরা। অভিযোগ উঠছে, এলাকার তৃণমূল নেতাদের কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দাদের জমি গায়ের জোরে দখল করে নিয়েছে। সেই জমিতে মাছের ভেড়ি বানানো হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা আরও বলছেন লিজের টাকা চাইতে গেলে মিলছে শাসানি-হুমকি। এলাকার তৃণমূল নেতা আয়ুব হোসেন গাজির নেতৃত্বে মিনাখাঁয় এই জমি দখল করছে তৃণমূল নেতাদের একাংশ, এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের কয়েকজনের। উল্লেখ্য, সন্দেশখালিকাণ্ডকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। জমি অধিগ্রহণ নিয়ে নন্দীগ্রামে যে আন্দোলন হয়েছিল, তেমনই শাসক বিরোধী বিক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছে সন্দেশখালিতে।

বিজেপির বক্তব্য, তারা সারা দেশের মানুষকে দেখাতে চাইছেন যে পশ্চিমবঙ্গে একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তারই দলের কিছু নেতা লাগাতার মহিলাদের ওপরে যৌন নির্যাতন-সহ নানা অত্যাচার চালিয়ে গেছেন। আর তাই সন্দেশখালি ফ্যাক্টর এবারের ভোটে বড় ইস্যু হয়ে উঠতে চলেছে। যাকে কাজে লাগাতে মরিয়া গেরুয়া শিবির।

এদিকে, বাংলায় বর্তমানে শাসক বিরোধী হাওয়া ব্যাপকভাবে কাজ করছে। ফলে তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের গড় ধরে রাখতে পারবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।' ৪২টি আসনের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল গত নির্বাচনে ২২টি আসনে জয় পেয়েছিল। বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছিল ১৮টি আসন। ২টি আসনে জয় পেয়েছিল কংগ্রেস।

আরও খবরের জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চোখ রাখুন, এখানে ক্লিক করুন।