সংক্ষিপ্ত

সূত্রের খবর তিহার জেল থেকে বেরিয়ে অনুব্রত মণ্ডল সোজা চলে যাবেন দিল্লি বিমান বন্দরে। ইতিমধ্যেই তাঁর টিকিটের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

 

প্রায় দুই বছর পরে মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নেবেন অনুব্রত মণ্ডল। সবকিছু ঠিক থাকলে সোমবার জেল মুক্তি হতে পারে অনুব্রতর। তবে তিহার জেল থেকে বেরিয়ে আর এক মুহূর্ত সময় তিনি দিল্লিতে থাকতে চান না। সোজা চলে আসতে চান কলকাতায়। তবে জামিন পাওয়ার পরেই জেলের মধ্যেই স্বমহিমায় ফিরে এসেছেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি জেল থেকে বেরিয়েই কড়া নিরাপত্তা চান। কিন্তু দিল্লি পুলিশের নিরাপত্তা দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। তাই বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীর ব্যবস্থা করছে তাঁরই ঘনিষ্টরা। তেমনই খবর পাওয়া গেছে অনুব্রর আইনজীবী মারফত।

সূত্রের খবর তিহার জেল থেকে বেরিয়ে অনুব্রত মণ্ডল সোজা চলে যাবেন দিল্লি বিমান বন্দরে। ইতিমধ্যেই তাঁর টিকিটের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কিন্তু কলকাতা বিমান বন্দর থেকে বেরিয়ে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার 'বায়না' জুড়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তা যদি না পাওয়া যায় তাহলে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা করতে হবে। কলকাতায় কতদিন থাকবে, কবে বীরভূম ফিরবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সোমবার অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও কলকাতা ফিরতে পারেন সোমবার। তিনিও সদ্যো জামিন পেয়েছেন। জামিন পাওয়ার পরে তিনি দিল্লিতেই গোপন আস্তানায় রয়েছেন।

প্রায় ১৮ মাস দিল্লির কুখ্যাত তিহার জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তিহার জেলে থাকতে হয়েছে তাঁর মেয়েকেও। কিন্তু চিকিৎসার নামে বেশ কয়েকবার অনুব্রত ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। তবে জেল যাত্রার কারণে প্রায় ৩০ কেজি পর্যন্ত ওজন কমেছে অনুব্রত মণ্ডলের।

পাচার মামলায় কেন জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল- তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সূত্রের খবর ভাষার গেরোতেই আটকে ছিল গরুপাচার মামলার বিচার প্রক্রিয়া। অনুব্রত আইনজীবী জানিয়েছেন, গরু পাচার মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। সেই চার্জশিটে ব কোথাও উল্লেখ নেই, যে গরু পাচার-কাণ্ডে আর্থিক সুবিধে পেতেন তৃণমূল নেতা। নেই প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণও। সেই কারণেই জামিন মঞ্জুর করে দিল্লির কোর্ট। আইনজীবীর কথায় ভাষার কারণেই বিচার প্রক্রিয়ায় দেরি। গরু পাচার মামলায় রাজ্য থেকে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের অধিকাংশই বাংলা ছাড়া অন্য কোনও ভাষায় কথা বলতে পারে না। হাজার হাজার পাতার বয়ান বাংলা থেকে হিন্দি বা ইংরেজিতে অনুবাদ করাও কঠিন। সেই কারণেই বিচার প্রক্রিয়ায় দেরি হয়েছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।