সংক্ষিপ্ত

কঙ্কালীতলার মন্দিররে নিষ্ঠাভরে পুজো করেন অনুব্রত। প্রার্থনা করেন। সেই সময়েই হাপুস নয়নে কাঁদতে থাকেন অনুব্রত মণ্ডল।

 

দীর্ঘ তিহার-বাসের পরে চলতি সপ্তাহে প্রথম দিকেই বীরভূম ফিরেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু তারপর থেকে অধিকাংশ সময়ই নিজের ঘরেই ছিলেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। কয়েকটি দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু বোলপুর ছেড়ে তেমন দূরে যাননি। রবিবার ছুটির দিনে অনুব্রত মণ্ডল স-কন্যা সুকন্যাকে নিয়ে চলে দিয়েছিলেন বীরভূমের বিখ্যাত শক্তিপীঠ কঙ্কালীতলায় পুজো দিতে। সেখানেই তৃণমূল নেতার দুচোখে জলের ধারা বাধ মানল না। রীতিমত কেঁদে ভাসালেন অনুব্রত মণ্ডল।

কঙ্কালীতলার মন্দিররে নিষ্ঠাভরে পুজো করেন অনুব্রত। প্রার্থনা করেন। সেই সময়েই হাপুস নয়নে কাঁদতে থাকেন অনুব্রত মণ্ডল। সঙ্গে ছিলেন মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। তিনি জানিয়েছেন, মেয়ে সুকন্যা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের জন্যও তিনি দেবীর কাছে প্রার্থনা করেছেন।

শনিবার মেয়েকে সঙ্গে নিয়েই কঙ্কালীতলায় পুজো দিতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর অনুগামীরাও। পুজো দেওয়ার পরে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়েছেন সব শক্তিপীঠ। তারমধ্যে রয়েছে কঙ্কালীতলাও। অনুব্রত জানিয়েছেন কিছু কাজ বাকি রয়েছে। সেই কাজও দ্রুত করে দেওযা হবে। বোলপুর থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরে কোপাই নদীর তীরে কঙ্কালীতলা। কথিত রয়এছে, এই এলাতায় সতীর অস্থি পড়েছিল। একটা সময় এই এলাকার নাম ছিল কাঞ্চি। পরবর্তীকালে নাম হয়েছে কঙ্কালীতলায়।

গরুপাচার কাণ্ডে দিন ছয়েক আগে দিল্লির তিহার জেল থেকে বীরভূমে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রায় দুই বছর গরু পাচার মামলায় নাজেহাল হতে হচেছে তাঁকে। একই অভিযোগে তাঁর জেলে থাকতে হয়েছিল তাঁর মেয়েকেও। সম্প্রতি জেলায় ফিরেছেন অনুব্রত। তিনি দলের রাশ নিজের হাতে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।