সংক্ষিপ্ত
এই মুহূর্তে জোরকদমে প্রচার করছেন তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী। রবিবারও প্রচারে বেরিয়েছিলেন তিনি। প্রচার সেরে সিউড়ির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ডাঙালপাড়া অঞ্চল দিয়ে যাচ্ছিলেন বিদায়ী সাংসদ। সেই সময়ই তাঁকে দেখে ‘চোর’, ‘চোর’ স্লোগান তোলেন কয়েকজন।
এবারের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে হিট হল চোর শ্লোগান। কখনও তৃণমূলকে লক্ষ্য করে বিজেপি, কখনও বিজেপিকে উদ্দেশ করে তৃণমূল চোর স্লোগান দিচ্ছে। এবার সেই চোর শ্লোগানের নিশানায় পড়লেন বীরভূমের বিদায়ী সাংসদ ও এবারের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শতাব্দী রায়। ‘চোর’, ‘চোর’ স্লোগান শুনতে হল বীরভূমের বিদায়ী সাংসদকে।
আগামী ১৩ মে ভোট রয়েছে বীরভূমে। এই মুহূর্তে জোরকদমে প্রচার করছেন তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী। রবিবারও প্রচারে বেরিয়েছিলেন তিনি। প্রচার সেরে সিউড়ির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ডাঙালপাড়া অঞ্চল দিয়ে যাচ্ছিলেন বিদায়ী সাংসদ। সেই সময়ই তাঁকে দেখে ‘চোর’, ‘চোর’ স্লোগান তোলেন কয়েকজন।
শতাব্দীর যাওয়ার পথে জমায়েত করেছিলেন বেশ কয়েকজন যুবক। তাঁদের হাতে ছিল বিজেপির পতাকা। তৃণমূল প্রার্থীর গাড়ি কাছাকাছি আসতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘চোর’ স্লোগান তোলা শুরু হয়। যদিও সেই স্লোগানে শতাব্দীকে কিন্তু সরাসরি ‘চোর’ বলা হয়নি। তবে জোরে জোরে চিৎকার করতে থাকেন ওই যুবকরা।
কী করলেন শতাব্দী
এই ঘটনা প্রসঙ্গে সিউড়ির তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ সফি বলেন, ‘তখন আমরা সিউড়ি ১ নম্বর ওয়ার্ডের একটি অনুষ্ঠানে এসেছিলাম। বিজেপির হট্টগোলের খবর পাওয়ার পর আমাদের কর্মী, সমর্থকরা সেখানে যায়। প্রতিবাদ করে, পাল্টা স্লোগান দেয়। বিজেপির যুবকরা তখন সেখান থেকে পালিয়ে যায়’। বিজেপির জেলা সহ সভাপতি তথা ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন বিজেপি কাউন্সিলর দীপক দাস আবার বলেন, ‘চোরকে চোর বলতে অসুবিধা কোথায়। কর্মীরা যেটা দেখেছে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সেটা নিয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে’।
তবে এদিন যেভাবে শতাব্দী বিষয়টি সামাল দিয়েছেন, তা প্রশংসার যোগ্য বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বিক্ষোভের মুখে পড়লেও শতাব্দী মেজাজ না হারিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দিয়ে দেন। তৃণমূল প্রার্থী সেই দিকে বিশেষ পাত্তা না দিয়ে নিজের গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান।
চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।