ফের সীমান্তে টহলদারিতে বাংলাদেশী নাগরিক গ্রেফতার। খড়িবাড়ির ইন্দো-নেপাল সীমান্তে পানিট্যাঙ্কি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে।
অনুপ্রবেশ বন্ধ হচ্ছে না। আবারও এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করেছে এসএসবি। সীমান্তে টহলদারি দেওয়ার সময়ই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এই ঘটনা জলপাইগুড়িতে। ধৃতের নাম মহম্মদ মানিক।
ফের সীমান্তে টহলদারিতে বাংলাদেশী নাগরিক গ্রেফতার। খড়িবাড়ির ইন্দো-নেপাল সীমান্তে পানিট্যাঙ্কি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে। গতকাল সীমান্ত দিয়ে নেপালে ঢোকার আগে ভারতীয় আধার কার্ড দেখিয়ে সীমান্ত পারাপার করতে চান মহম্মদ মানিক নামে এক যুবক। আধারকার্ড দেখেই সন্দেহ হয় সীমান্তে টহলরত বিএসএফ জওয়ান। তারা জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে। সেই সময়ই সেই যুবক জেরায় ভেঙে পড়ে। জানিয়ে দেয় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল সে।
যুবককে আটক করে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় বাংলাদেশের পরিচয়পত্র। বাংলাদেশের পরিচয়পত্রে নাম হয় মহম্মদ মানিক, অন্যদিকে আধারে রয়েছে রাতুল খান। এক ব্যক্তির দুইনাম! পরে বাংলাদেশের নাগরিক বলে জেরায় স্বীকার করে ধৃত। ধৃত বাংলাদেশের লালমনিরহাটের বাসিন্দা। ধৃতের হেফাজত থেকে বাংলাদেশের নাগরিক পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভারতীয় আধার কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
ধৃতকে পরে খড়িবাড়ি পুলিশের হাতে তুলে দেয় এসএসবি। আজ শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হবে। গত শুক্রবার অবৈধভাবে বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের দালালরা ধৃতকে জাল আধার কার্ড সরবরাহ করে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে।
এর আগেই একাধিকবার বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে। শেখ হাসিনা জামানার পরই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের সংখ্যা বেড়েছে। মূলত বাংলাদেশের অস্থিরতার জন্য এই অনুপ্রবেশের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এখনও ভারত-বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা কাঁটাতারের বেড়া ছাড়াই রয়েছে। যা অনুপ্রবেশকারীদের জন্য স্বর্গরাজ্য। অন্যদিকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করতে সজাগ রয়েছে সীমান্ত বাহিনী। কিন্তু তাদের চোখে ফাঁকি দিয়ে চলছে অনুপ্রবেশ। যা নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্র একাধিকবার সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে বাংলায় অনুপ্রবেশ একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।


