সংক্ষিপ্ত
ভোটের পরে নয়, ভোটের আগেই বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। এগরায় বাম , বিজেপি আর কংগ্রেস কর্মীরা যোগ দিল তৃণমূল কংগ্রেসে।
ভোটের পরে নয়, ভোটের আগেই দল বদল শুরু গ্রামীণ এলাকায়। এবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায়পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ১ ব্লকে বিরোধী শিবিরে বড় ভাঙন ধরিয়ে উচ্ছ্বাস ঘাসফুল শিবিরে। শুধু বিজেপি নয়, বাম ও কংগ্রেসেও ভাঙন ধরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। স্থানীয় সুত্রে খবর, বিজেপি থেকে ১০০ জন, কংগ্রেস থেকে ১০০ জন ও সিপিআই(এম) থেকে ৭০ দন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছে।
এগরার কসবাগোলাতে নবাগতদের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে দিলেন এগরার বিধায়ক ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি তরুণ কুমার মাইতি। তবে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতা ও হাওড়া গ্রামীণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির পর্যবেক্ষক অরুপ দাশ জানিয়েছেন, এই যোগদান শুধুমাত্র প্রহসন। নিজেদের দলের লোককে ঝান্ডা ধরিয়ে বলছে বিজেপির লোক তৃণমূলে যোগদান করেছে। পশ্চিমবঙ্গের চোর সরকারকে উৎখাত করার জন্য মানুষ সংঘবদ্ধ হচ্ছে।
যদিও ভোটের আগে বিরোধী শিবিরও দমার পাত্র নয়। তাদের দাবি যে কর্মীরা এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছে তারা সকলেই বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস। দলের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে বসে গিয়েছিল নয়তো অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কাজ করছিল। মনোনয়নের আজ তৃতীয় দিন। আজ থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কিন্তু তারই মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের খরব রীতিমত তাৎপর্যপূর্ণ।
তবে মালদায়ে সম্পূর্ণ উল্টো ছবি। কারণ সেখানে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দান করলেন গৌড়হণ্ড পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধান। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ টাকার বিনিময় বিজেপি তাদের কর্মীদের ভাঙিয়ে নিচ্ছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
অন্যদিকে আগেই তৃণমূল নেতা কুণাল হুঁশিয়ারি দেয়িছেলেন ভোটের পরে দল বদল হবে এই রাজ্যে। তিনি বলেছিলেন, 'অন্য প্রতীকে জিতলে বায়রন বিশ্বাসের অনুভূতি সংক্রমিত হবে।' পঞ্চায়েত ভোটের আগেই দলবদল নিয়ে বড় কথা বললেন কুণাল ঘোষ। এখানেই অবশ্য শেষ নয়, কুণাল বলেন, 'অন্য চিহ্নে ভোট দিলে পঞ্চতায়েত ভোটের পরেই তৃণমূল কংগ্রেসে আসবে। তাহলে আর অহেতুক কেন অন্য চিহ্নে ভোট দেবেন?' কুণাল রাজ্যের সাধারণ ভোটারদের উদ্দেশ্যে এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। তবে এদিন দল বদলের কারণ প্রসঙ্গেও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, যদি কেউ অন্যদের প্রতীকে জেতেন তাহলে তিনি বুঝতে পারবেন কেন্দ্র সরকার কীভাবে বাংলাকে বঞ্চিত করছে। আর অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী বাংলার দজন্য জনমুখী প্রকল্প চালু করছে। আর এটা বুঝতে পেরেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নাকি ভোটের পরে তৃণমূলে যোগদান করবেন। পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন অন্য প্রতীকে ভোট দিয়ে কী লাভ।
কুণালের এই মন্তব্যের পরই বিরোধী শিবিরের প্রশ্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই তৃণমূল কংগ্রেস বায়রন বিশ্বাস মডেলেই আস্থা রাখছে। অর্থাৎ পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেই জিতুক তারপর দলবদলই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাবে।