সংক্ষিপ্ত

ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়া হতে পারে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ থাকতে পারে ৮৫ শতাংশ। দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি হতে পারে।

 

পশ্চিমবঙ্গের জন্য তেমন হুমকি হয়ে দাঁড়াবে না মোকা। তবে সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় হালকা বৃষ্টি হবে বলেও জানিয়েছে মৌসমভবন। দুই দিনের মধ্যেই বাংলার আবহাওয়া পরিষ্কার হবে যাবে। সোমবার থেকে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দফতর। পাশাপাশি বাড়বে আর্দ্রতা।

ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়া হতে পারে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ থাকতে পারে ৮৫ শতাংশ। সোমবার থেকে কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি,পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, বীরভূম,দুই বর্ধমান ও বঁকুড়ায় বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী দুই দিন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা খুব থাকবে। মঙ্গলবার থেকে পুরো ছবি পরিষ্কার হবে বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

আগামী ২৪ ঘণ্টা উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায়। ঘূর্ণিঝড়ের কোনও প্রভাব পড়বে না উত্তরবঙ্গের ওপর।

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে আগামী সপ্তাহের শেষ নাগাদ বাংলাদেশ-মায়ানমারের উপকূলে ল্যান্ডফল করতে পারে। যার প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে সামান্য পড়লেও উত্তরবঙ্গে একদমই পড়বে না বলেও জানিয়ে হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিস জানিয়েছে আগামী সপ্তাহখানেক কলকাতার আকাশ মেঘলা থাকলেও তাপমাত্রার পারদ খুব একটা নিচের দিকে নামবে না। পাল্লা দিয়ে আস্বস্তিও বাড়বে। কারণ আর্দ্রতার পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকবে।

আগে মৌসম ভবন বলেছিল থেকে বাংলা ছাড়াও ওড়িশা ও বাংলাদেশ উপকূল দিয়েও বয়ে যেতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোকা। এখনও পর্যন্ত ল্যান্ডফল নিয়ে কিছু জানানো না হলেও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতেও প্রশাসনের তরফ থেকে প্রাথমিকভাবে নজরদারি শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মৌসম ভবন জানিয়েছিল, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে ৬ থেকে ৭ মে-র মধ্যে। এই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হলে তা নিম্নচাপে পরিণত হবে ৮ থেকে ৯ মে-এর মধ্যে। এরপর এটি দারুণ শক্তি ধারণ করে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ১০ থেকে ১২ মে তারিখের মধ্যে এই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। সেই ঘূর্ণিঝড় ১৪ মে থেকে ১৭ মে-র মধ্যে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে মায়ানমারের রাখাইন কুলের মাঝামাঝি কোথাও স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম 'মোকা' বলেও জানানো হয়।