সংক্ষিপ্ত

আন্দোলনের নামে সম্পত্তির ক্ষতি হলেই অভিযুক্তের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। কড়া বিল পেশ বিধানভায়।

 

আনন্দোলনের সময় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপুরণ দেওয়ার জন্য আন্দোলনকারীর সম্পত্তি নিলাম করা হবে। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পেশ হয়ে গেল ওয়েস্ট বেঙ্গল মেইনটেন্যান্স অফ পাবলিক অর্ডার (সংশোধন) বিল ২০২৩। সরকার বলেছে, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপুরণ দেওয়ার জন্য আন্দোলনের সময়া যারা সরকার সম্পত্তি বা ব্যক্তিগত সম্পত্তি ক্ষতি করে তাদের সম্পত্তি সংযুক্ত ও নিমালের জন্য আদালতের আদেশ পাওয়ার জন্য প্রশাসনকে ক্ষমতা দেওয়া হবে। বিলে ওয়েস্টবেঙ্গল মেইনটেন্যান্স অব পাবলিক অর্ডার অ্যাক্ট ১৯৭২ এর সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। মোটকথা আন্দোলনের নামে লুঠপাট ভাঙচুর রুখতে রীতিমত কড়া হচ্ছে রাজ্য সরকার। তবে বিরোধীরা মমতা সরকারের এই পদক্ষেপের সঙ্গে উত্তর প্রদেশের যোগী সরকারের মিল দেখতে পাচ্ছে বলেও দাবি করেছে।

ওয়েস্ট বেঙ্গল মেইনটেন্যান্স অফ পাবলিক অর্ডার (সংশোধন) বিল ২০২৩এর প্রস্তাব করা হয়েছে, 'আন্দোলনের সময়' কিছু অসামাজিক কার্যকালাপ হয়, রাজ্যে অগ্নিসংযোগ, লুঠ, সম্পত্তির ক্ষতির মত ঘটনা ঘটে। বিলটির মূল অংশ হল যে এটির মাধ্যমে একটি স্কিম তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে বা ব্যক্তিদের ক্ষতিপুরণে দেওযার জন্য আইনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সম্পত্তি নিলামে তুলে তার বিক্রি করে সেখানে থেকেই অর্থের সংস্থান করা হবে। অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিলটি পেশ করার পরে বলেছিলেন, 'আন্দোলনের নামে অনেক অসামাজিক কার্যকলাপ হয়। ভাঙচুর, লুটপাটের মতো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডও হয়। এখন পর্যন্ত শুধু সরকারি সম্পত্তির ক্ষেত্রেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। এবার তা ব্যক্তিগত সম্পত্তির ধ্বংসের ক্ষেত্রে দিতে হবে। '

তবে তিনি এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন রাজ্য সরকার যদি ১৮০ দিনের মধ্যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কারণ প্রমাণ হিসেবে দাখিল করতে না পারে তাহলে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি সেই সম্পত্তির মালিককে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

২০১৯ সালের পরে সিএএ বিরোধী আনন্দোলনের সময় উত্তর প্রদেশের যোগী সরকার এজাতীয় একটি আইন লাগু করেছিল। সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেস সেই আইনের তীব্র বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু এবার তৃণমূল সরকারেই তেমনই বিল পাশ করেছে। তাই বিরোধীদের প্রশ্ন কেন এই পদক্ষেপ। যদিও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, রাজ্যের এই প্রস্তাবিত আইনের সঙ্গে উত্তর প্রদেশের আইনের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে।

মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভা লোকায়ুক্ত (সংশোধনী) বিল ২০২৩ পেশ করা হয়েছে। এই বিলেপ মাধ্যমে লোকাযুক্তের কার্যকাল বাড়ানোর ক্ষমতা রাজ্যপালের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বিলটিতে প্রস্তাব করা হয়েছে লোকায়ুক্ত ৭০ বছর বয়স পরে অবসর নেবেন। অবসেরর পর তিনি কোনও সরকারি পদে থাকতে পারবেন না।