সংক্ষিপ্ত

কার্শিয়াং-এর বিজেপির বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত মানতে চান না। রাজু বিস্তাকে প্রার্থী না করার আবেদন।

 

পঞ্চম প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। তারই মধ্যে প্রকাশ্যে দার্জিলিং-এ বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। দার্জিলিং-এর বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তাকে মেনে নেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কার্শিয়াংএর বিধায়ক। এখানেই শেষ নয়, তিনি নিজে পাল্টা প্রার্থী হয়ে বিজেপি প্রার্থীর মোকাবিলা করবেন বলেও জানিয়েছেন। তবে তার আগে দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলার রাস্তা অবশ্য খোলা রেখেছেন কার্শিয়াং-এর বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা।

কার্শিয়াং-এর বিজেপির বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত মানতে চান না। রবিবার রাতে বিজেপির সদর দফতর দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গ থেকে প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরই অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন প্রয়োজনে তিনি নিজে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়বেন। যদিও বিধায়কের এই হুঁশিয়ারিতে পাহাড়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। দার্জিলিং-এর দায়িত্বে থাকা বিধায়ক ও সংগঠন বিশাল লামা তাঁকে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও ফলাফল পাওয়া যায়নি।

লোকসভা নির্বাচনে দার্জিলিং-এ কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা। স্থানীয়দের অভিযোগ ভোটে জেতার পর থেকে তাঁকে আর পাহাড়ে দেখা যায়নি। এলাকার উন্নয়নের জন্য কিছুই করেনি। তাতেই এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। অন্যদিকে বিষ্ণুর কথায় তিনি ও দলের একাংশ চেয়েছিল দার্জিলিং থেকে প্রার্থী করা হোক কোনও ভূমিপুত্রকে। কিন্তু ২০১৯ সালের মতই এবারও মণিপুরের বাসিন্দা রাজু বিস্তাকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তাতে বিজেপির ভোট কমবে বলেও আশঙ্কা দলের একাংশের। দলেরই একাংশ চেয়েছিল বিজেপির প্রার্থী করা হোক হর্ষবর্ধন শ্রীংলাকে। তিনি সিকিমের বাসিন্দা হলেও দার্জিলিং-এর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ট যোগাযোগ ছিল। তিনি এলাকায় যাতায়াতও বাড়িয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হল না। বিজেপির একাংশের কথায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে বিজেপির ভোট পাহাড়ে কমতে পারে।