সংক্ষিপ্ত
সংখ্যাগুরু এবং সংখ্যালঘু বিতর্কে দলের অন্দরেই এবার চাপে পড়ে গেলেন ফিরহাদ হাকিম।
এবার তীব্র আক্রমণ করে প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ। তিনি বলেন, ইসলামের স্লোগান দিয়ে, হিন্দু এবং অন্যান্য ধর্মের মানুষদের ইসালামিকরণের প্রোবক্তা তথা খিদিরপুরকে মিনি পাকিস্তান বলা, ববি হাকিমের এই প্রত্যেকটি কথার মধ্যে উগ্র মুসলিম মৌলবাদ লুকিয়ে রয়েছে।
আর এরপরই তিনি শাসকদলের শীর্ষ নের্তৃত্বের কয়েকজনের বক্তব্য তুলে ধরেন। রুদ্রনীল জানান, আমরা যদি ধারাবাহিকতা বজায় রেখে তাকাই, দেখবেন হুমায়ুন কবীরের ‘হিন্দুদের কেটে ভাগীরথিতে ভাসিয়ে দেবো’, মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর ‘হাম দো, হামারে চার, জনসংখ্যা বাড়ানো’ এবং তারপর ববি হাকিমের ‘সংখ্যালঘুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে।’ এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত খারাপ।
এরপর তিনি আরও বলেন, “পড়াশোনা শিখিয়ে নয়, ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার করে নয়, তারা চান খেতে পাক আর না পাক, সন্তান উৎপাদন পদ্ধতি দিয়ে তারা বিধানসভা এবং পার্লামেন্ট দখল করার যে অনৈতিক অঙ্ক কষছেন এবং যে ধরনের কথা বলছেন, তারপরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশমন্ত্রী হয়ে ক্রাইম এবং ক্রিমিন্যালকে লোকাবার চেষ্টা করছেন। তিনি চুপ করে থাকছেন। এই ধরনের অর্বাচীনকে ঘাড় ধরে তাদের জেলখানায় পাঠানোর বন্দোবস্ত করা উচিৎ। এ যেন বাংলাদেশের জামাতের নির্দেশে চলা, ডক্টর মহম্মদ ইউনুসের ছায়াই এখানে দেখা যাচ্ছে।”
পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমি নিজেকে সংখ্যালঘু ভাবি না। আমি মনে করি, যদি আল্লার আমাদের ওপর করুণা হয়, তাহলে আমরা একদিন সংখ্যাগুরু হতে পারব। আল্লা সহায় হলে আমরা এটা করে ছাড়বই। আমি এমন একটি সম্প্রদায় থেকে আসছি, যে সম্প্রদায় বাংলাতে তো ৩৩ শতাংশ, কিন্তু হিন্দুস্তানে মাত্র ১৭ শতাংশ। তাই আমাদের সংখ্যালঘু বলা হয়। আমি নিজেকে সংখ্যালঘু ভাবি না। তাই আমি মনে করি যে, যদি আল্লার আমাদের ওপর করুণা হয়, তাহলে আমরা একদিন সংখ্যাগুরু হতে পারব।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আল্লা সহায় হলে আমরা এটা করেই ছাড়ব। কিছু হলেই মোমবাতি মিছিল করা হয়। উই ওয়ান্ট জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস বলে। আমি বলছি, মিছিল করে বিচার চেয়ে কিছু হবে না। বরং, নিজেকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে যাও, যাতে বিচার চাইতে হবে না। তুমি নিজেই বিচার করবে।”
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।