সংক্ষিপ্ত

কাব্যের ছন্দে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরোক্ষে ‘ভূতেদের রানি’ বলে কটাক্ষ বিজেপি নেতার। শতাব্দী রায়ের ভাতের থালা ফেলে উঠে যাওয়াকেও নিশানা করলেন রুডি। 

ফের অভিনেতা, বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষের নিশানায় তৃণমূল সরকার। আপাতত জেলায় জেলায় চলছে 'দিদির দূত' কর্মসূচি। আর এই কর্মসূচির কারণে একাধিক স্থানে বিক্ষোভের মুখে পড়তেও হচ্ছে তৃণমূলের নেতা-বিধায়কদের। সঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই তৃণমূলের অভিযোগ গোটা পরিস্থিতিকে আরও জোড়ালো করে তুলেছে। আর এই এসব নিয়েই নিজস্ব ঢঙে ছড়া কেটে পোস্ট করলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।

তাঁর কবিতার প্রথম অংশটি এইরকম, ‘ভূত মানে হল ঘাড়টা মটকে রক্তটা চুষে খাবে, যতই তাকে ভাত বেড়ে দাও থালা ফেলে উঠে যাবে/ ভূতেরা ঘুরছে বাংলা জুড়ে, এই ভূত ঝেড়ে খায়। যাদের ঝেড়েছে, তাদের কী হাল, ভূতেই জানতে চায়।’ বলাবাহুল্য, বর্তমানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির রূপায়নে ‘দিদির দূত’ হিসেবে সারা বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন তৃণমূলের নেতানেত্রীরা। সম্প্রতি রামপুরহাটের মেলেরডাঙা ও বিষ্ণুপুরে গিয়ে মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে গ্রামবাসীদের বেড়ে দেওয়া খাবারের থালার সামনে শুধুমাত্র ছবি তুলেই উঠে চলে গিয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। রুদ্রনীলের কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে সেই কথাও।

বাংলার শাসকদল তৃণমূল এবং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া প্রতিশ্রুতিকে কটাক্ষ করে তাঁর ছন্দ, ‘ভুতেদের রানি, দিয়েছিল বাণী, উন্নয়নের ঢেউ, ঢপের ঢেউয়ে ডুবেছে সবাই, বাকি পড়ে নেই কেউ। তবু কেউ ভাবে, এবার সে পাবে ভূতের রানির বর, মুখ ফুটে তারা প্রাপ্য চাইতে জুটেছে সপাটে চড়।’ বলাবাহুল্য, উত্তর চব্বিশ পরগণার দত্তপুকুরের ইছাপুর নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের সাইবনা এলাকায় খাদ্য়মন্ত্রী রথীন ঘোষের সামনে এলাকার এক বাসিন্দা অভিযোগ জানাতে এলে তাঁকে চড় মেরেছিলেন স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী। সেই কথারই পুনরুত্থান করলেন রুডি। কবিতার শেষদিকে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে বিচারকদের ওপর রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর কথাও তুলে ধরেছেন এই বলে, ‘বিচারকদের ঘাড় মটকাতে দিনরাত করে ফন্দি, ভূতেরা চায় না বিচার করে চোর জেলে হোক বন্দি।’

নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে স্বরচিত এই কবিতার ভিডিয়ো পোস্ট করে রুদ্রনীল ক্যাপশনে লিখেছেন, 'দুয়ারে ভূত'। রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেই এই নামকরণ বলে বোঝা যাচ্ছে। গোটা কবিতা জুড়েই কটাক্ষ করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল সরকারকে। তবে, একথা অবশ্যই উল্লেখ্য যে, সম্পূর্ণ কবিতা জুড়ে কোনও দল বা নেতানেত্রীদের নাম নেননি বিজেপি নেতা।



আরও পড়ুন-
টেস্ট পেপারে লেখা ‘আজাদ কাশ্মীর’ নিয়ে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ সুকান্ত মজুমদারের, রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক হইচই
ভারতে জ্বালানির দর আপাতত স্থিতিশীল, বঙ্গে কোন জেলায় সবচেয়ে বেশি তেলের দাম?