সংক্ষিপ্ত

বাংলায় চাকরি নেই। ৫০ লক্ষ মানুষ রুজি রুটির সন্ধানে বাংলার বাইরে। ৪-৫ লক্ষ মানুষ হকার হিসেবেই পেট চালায়। হকার উচ্ছেদ হতে পারে। কিন্তু তার জন্য এক মাসের নোটিশ দেওয়া জরুরি।

 

রাজ্যের হকার উচ্ছেদ অভিযান ও রাজ্যের অর্থনৈতিক বেহাল দশা নিয়ে রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি রাজ্যে চালু না করারও তীব্র সমালোচনা করেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নিজের জেদ আর অহংকার বজায় রাখতে গিয়েই কেন্দ্রের প্রকল্পগুলি রাজ্যে চালু করছে না। এতে রাজ্যের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনই সাধারণ মানুষেরও ক্ষতি হচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ঋণের ভারতে জর্জরিত রাজ্য সকার। এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে রাজ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

হকার উচ্ছেদ নিয়ে শুভেন্দুর মন্তব্যঃ

বাংলায় চাকরি নেই। ৫০ লক্ষ মানুষ রুজি রুটির সন্ধানে বাংলার বাইরে। ৪-৫ লক্ষ মানুষ হকার হিসেবেই পেট চালায়। হকার উচ্ছেদ হতে পারে। কিন্তু তার জন্য এক মাসের নোটিশ দেওয়া জরুরি। মমতা বলেছেন দেড় কোটি চাকরি দিয়েছেন। কিন্তু কোথায় চাকরি হয়েছে তার কোনও তথ্য নেই। মমতা দেড় লক্ষ হকারকে গ্রুপ ডি স্টাপ করতেই পারেন। তাতে কিছুটা হলেও সমস্যা মিটবে। বিজেপি চায় মানুষের বিকল্প রুজির ব্যবস্থা করতে হবে। হকার সমস্যা সমাধানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্রুত পদক্ষেপ করা উচিৎ বলেও তিনি দাবি করে।

রাজ্য সরকারের ঋণ নিয়ে বার্তা শুভেন্দুঃ

ঋণ পরিষোধ করতে গিয়ে আর ভাতা দিতে গিয়ে রাজ্য দেউলিয়া হয়েছে। ২ কোটি বেকার। মমতা বেতন দেওয়ার ভয় চাকরি দিতে চান না। গ্র্যাচুইটি আর পিএফ-এর টাকাও দেওয়া হয়েছে না বলে অভিযোগ উঠছে। ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রাও অতিক্রম করেছে রাজ্য। তিনি আরও বলেছেন, তিনি দীর্ঘদিন রাজ্যের মন্ত্রিসভায় ছিলেন আর এমএলএ আর এমপি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই রাজ্য সরকারের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। শুভেন্দ বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষমতা শূন্য। এভাবেই চললে হয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। শিল্প এলেই অর্থনৈতিক সমস্যা মিটবে। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালি করলেও সকলে সুবিধে পাবে। কেন্দ্রের বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্প যদি রাজ্যে চালু করা হয় তাহলে কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা বাঁচাতে পারবেন মমতা। একই ভাবে কেন্দ্রের কৃষকদের প্রকল্পগুলিও রাজ্যে চালু করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু।

রাজ্যপালের শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিতে শুভেন্দুর মন্তব্যঃ

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন রাজ্যপাল।, রাজ্যের অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক এবং শ্বেতপত্রের দাবি রাজ্যপালের, এই নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন যে কথাটা আমরা ২০২১ সাল থেকে বলে আসছি সেই কথাটা রাজ্যপাল আজ বললেন,ওনাকে ধন্যবাদ জানাই,তিনি দেখেছেন পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি,ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে ও ভাতা দিতে গিয়ে রাজ্য দেউলিয়া হয়ে গেছে ,পরিকাঠামো গত উন্নয়ন ০,দু কোটির কাছে বেকারত্ব, পেনশনর,শিক্ষকরা কেন্দ্রীয় হার এ মহার্ঘ ভাতা থেকে বঞ্চিত,মমতা ব্যানার্জি নতুন নিয়োগ করছেন না বেতন দেওয়ার ভয়ে,রাজ্যের অবস্থা চরম জায়গায় গেছে ,ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে , তাই রাজ্যপাল এই কথা বলেছেন,আমরা হারির খবর রাখি,হয় বেতন বন্ধ নাহলে লক্ষ্মীরভাণ্ডার বন্ধ করতে হবে ,পরের বছর মুখ্যমন্ত্রী হাত তুলে বলবেন আমি দেউলিয়া।

সম্প্রতি নন্দীগ্রামের হরিপুর সমবায় সমিতির নির্বাচনে জয়লাভ করেছে বিজেপি, হরিপুরের বিজেপির পার্টি অফিসে জয়ী সমবায় প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করলেন বিরোধী দলনেতা। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন শুভেন্দু অধিকারী।