সংক্ষিপ্ত
নবান্ন অভিযানে গ্রেফতার ছাত্র সমাজের চার প্রথম সারির নেতা। ধৃত চার নেতার পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। চার নেতাকেই আর্থিক ও আইনি সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেছেন, চারনেতার জন্য যা আইনি পদক্ষেপ প্রয়োজন ও যত অর্থ খরচ হয় তা বহন করবেন।
মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ নামে একটি সংগঠন। এই সংগঠনকে বাইরে থেকে সমর্থন জানানোর কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার চার ছাত্র নেতার পাশে দাঁড়িয়ে সরসারি আইনি ও আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। একই সঙ্গে প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, যদি আন্দোলনকারীদের মারধর করা হয় তাহলে তিনি আবারও পথে নামবেন।
শুভেন্দু জানিয়েছেন, তাঁর আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। তাঁর আইনজীবীরাই মামলাটি লড়বেন। তিনি আরও বলেন, 'মামলা হবে মমতা-পুলিশের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে বিনীত গোয়েল আর রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে। ' শুভেন্দুর অভিযোগের আঙুল রয়েছে হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠীর বিরুদ্ধেও।
ছাত্র সমাজের ডাকা নবান্ন অভিযান আটকাতে তৎপর ছিল রাজ্য পুলিশ। কলকাতা পুলিশও ছিল অতিসক্রিয়। নবান্নকে রীতিমত ব্যারিকেডে ঘিরে ফেলেছিল। নবান্ন আসপাশে মোতায়েন ছিল হাজার হাজার পুলিশ। শুভেন্দুর কথায়,'মানুষ সব দেখছে। রাজ্য সরকার আজ নবান্ন অভিযান আটকাতে ৪-৫ হাজার টাকা খরচ করেছে।। ভাল ভাল রাস্তা খুঁড়েছে।এমনকি গার্ডেনরিচ থেকে কন্টেনার এনে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ওপর রাখা হয়েছে।' শুভেন্দু আরও বলেন, অরাজনৈতিক মিছিল আটকাতেই রাজ্য সরকার এই ভাবে সক্রিয় হয়েছে। তাহলে রাজনীতির লোকেরা পথে নামলে রাজ্য সরকার কী করবে? এদিন মিছিল থেকে ১০০ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।