সংক্ষিপ্ত
রিষড়ার ঘটনা নিয়ে অমিত শাহের কাছে নালিশ জানালেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে ঘটনার তীব্র নিন্দা অমিত মালব্য ও লকেট চট্টোপাধ্য়ায়ের মুখে।
রাম নবমীর মিছিলে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে অমিত মালব্য একহাত নিয়েছেন রাজ্য সরকারে। গোটা ঘটনায় সংখ্যলঘু সম্প্রদায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনঠাসা করার চেষ্টা করেছেন বিজেপি নেত্রী লকেট চক্রবর্তী।
অমিত মালব্যঃ
সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে অমিত মালব্য জানিয়েছেন, হুগলির রিষড়া জ্বলছে। রাম নবমীর শোভাযাত্রায় হামলা হয়েছে। পরিস্থিতি চরম উত্তেজনাপূর্ণ। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কারও নির্দেশে নীরব দর্শক। মুসলিম জনতা হামলা করছে। সাগরদিঘির পরাজয়ের পরে মমতা মুসলিম ভোটকে একত্রিত করতে মরিয়া চেষ্টা করছেন।
সুকান্ত মজুমদারঃ
রিষড়ার ঘটনা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি গোটা বিষয়টি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন। তিনি বলেছেন বাংলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় দাঙ্গা অশান্ত বন্ধ করতে পারছেন না। বাংলায় আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে তিনি অমিত শাহের সাহায্য চেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।
আরও একটি টুইট করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, রিষড়ার ঘটনায় বিজেপির বিধায়ক আহত হয়েছে। আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা কর্মী আহত হয়েছেন। এখানে হিন্দুদের প্রার্থনা করার জন্য চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। পাশাপিশি তিনি প্রশ্ন তুলেছেন কারা তাদের ধর্মীয় শোভাযাত্রার ওপর হামলা চালিয়েছে তা নিয়েও।
লকেট চট্টোপাধ্য়ায়ঃ
বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্য়ায় গোটা ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্য সরকারের। তিনি বলেন পুলিশ ছিল নীরব দর্শক। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় আগেই বলেছেন তিনি সব কিছু আগে থেকে খবর পান। তাহলে রিষড়ার অশান্তি কেন আটকানো গেল না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি অভিযোগ করেন রাম নবমীর শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আক্রমণ করেছিল।
এই অশান্তি নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ কড়া বার্তা দিলেন। রাজভবন সূত্রের খবর রিষড়ার অশান্তি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। তারপরই রাজ্যপাল বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন ''গুন্ডা, দুর্বৃত্তজের কঠোরভাবে দমন কপা হবে। গণতন্ত্রকে বিপথে চালিত করা যাবে না। সিভি আনন্দ বোস জানিয়েছেন, 'এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা কড়া হাতে দমন করা হবে। আগুন নিয়ে খেলা করার পরিণাম শীঘ্রই টের পাবেনআইনভঙঅগকারীরা। এমন শান্তি দেওয়া হবে যে দুষ্কৃতীরা তাদের জন্মদিনকে অভিশাপ দেবে।