- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মারণ সংক্রমণ GI সেপসিসে আক্রান্ত, জানুন কী এই ভয়ঙ্কর রোগ
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মারণ সংক্রমণ GI সেপসিসে আক্রান্ত, জানুন কী এই ভয়ঙ্কর রোগ
Abhijit Gangopadhyay: অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ে এখনও সংকটমুক্ত নন বলেও মনে করছেন চিকিৎসকরা। আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন তিনি।

হাসপাতালে অভিজিৎ
এখনও হাসপাতালে ভর্তি তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিন দিন হয়ে গেল তিনি চিকিৎসাধীন।
অভিজিতের শারীরিক অবস্থা
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ে এখনও সংকটমুক্ত নন বলেও মনে করছেন চিকিৎসকরা। আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন তিনি।
রোগ
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছেন তিনি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সেপসিস নামের একধরনের সংক্রমণজনিত রোগে ভুগছেন।
রোগের ভয়াবহতা
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সেপসিস বা জিআই সেসপিস রোগ কিডনি হার্ট, মস্তিষ্ক-সহ শরীরের নানা অঙ্গকে একই সঙ্গে বিকল করতে পরে। সঠিক সময় চিকিৎসা না হলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
সেপসিস
সেপসিস এমন একটি রোগ যা প্রথমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তারপরই বিভিন্ন অঙ্গের সঙ্গে জুড়ে থাকা সুস্থ সবল তন্তুর ক্ষতি করে। যার কারণ একে একে বিকল হতে পারে শরীরের একাধিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ।
জিআই সেপসিস
কোনও সংক্রমণ শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে। আর এই রোগ দীর্ঘদিন ধরে তৈরি হয় না। এটি হঠাৎ করেই হানা দেয়। মারাত্মক অসুস্থ করে দেওয়ার মত ক্ষমতাা রয়েছে। এই রোগের করণে রোগ প্রতিরোধের যে ক্ষমতা শরীরে থাকে তা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
সাধারণত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকার কারণে সাধারণ কোনও রোগ হলে শরীর প্রথমে তার মোকাবিলা করে। কিন্তু সেপসিসের কারণে আগেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই এর পরিণাম মারত্মক হতে পারে।
সেপসিসের ভয়াবহতা
জীবাণু শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে ঢুকতে পারে। কারও ত্বকের রন্ধ্রপথ ধরে ঢুকতে পারে। আবার খাদ্যনালী বা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাকের মাধ্যমেও ঢুকতে পারে। গ্যাসট্রোইনটেস্টাইনাল সেপসিস তখনই বলা হবে, যখন জীবাণু খাদ্যনালী বা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাকের মাধ্যমে শরীরে ঢুকবে এবং তা থেকে অন্ত্রের যে কোনও জায়গায় সংক্রমণ ছড়াবে।
রোগের কারণ
শরীরে খাবার সময় জীবাণু গেলে অনেক সময় এই রোগ হতে পারে। তবে অনেকক্ষেত্রে পেটের সমস্যা বা ডায়েরিয় দ্রুত সেরে যায়। তখন এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্ক কম থাকে।
সংক্রমণ-ই ভয়ের
সংক্রমণ দ্রুত ছড়ালে , তা মস্তিষ্ক, কিডনি, হার্টের সঙ্গে জুড়ে থাকা ধমনীগুলিকে নষ্ট করে দিচ্ছে। তেমন হলে মাল্টি অর্গান ফেলিওর হতে পারে। এমনকি, শরীরে জলাভাব হলে কিডনি বিকল হতে পারে, তার ফলেও অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হতে পারে।