সংক্ষিপ্ত
লোকসভা নির্বাচনের জন্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে এক ঘাসফুল নেতাকে নাকি কাজে লাগাতে চেয়েছিল বিজেপি! ভোটের মুখে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য। এজন্য ওই নেতাকে টাকাও দেওয়া হয় বলে খবর।
লোকসভা নির্বাচনের জন্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে এক ঘাসফুল নেতাকে নাকি কাজে লাগাতে চেয়েছিল বিজেপি! ভোটের মুখে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য। এজন্য ওই নেতাকে টাকাও দেওয়া হয় বলে খবর। কে তিনি! তাঁর নাম এল প্রকাশ্যে। কী ঘটেছে গোটা ঘটনা, জেনে নিন বিস্তারিত।
গত পঞ্চায়েত ভোটের সময় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বলেছিলেন, দলের তরফ থেকে টিকিট না পেয়ে যারা নির্দল হয়ে দাঁড়াবেন তাঁদের জন্য আর দলের দরজা খোলা হবে না। তবে লোকসভা ভোটের আগে দেখা গেল সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র! অভিযোগ, আরামবাগের তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগকে পরাজিত করতে এবং দলের ঐক্যবদ্ধতা নষ্ট করার চেষ্টা করছেন দলেরই এক নেতা।
জানা গিয়েছে হুগলি জেলার গোঘাট এলাকায় কুমারগঞ্জ অঞ্চলে বেশ কয়েকজন নির্দল কর্মী আরামবাগ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারম্যান স্বপন নন্দীর হাত ধরে ফের জোড়াফুল শিবিরে প্রত্যাবর্তন করেন। আর তাতেই ক্ষুব্ধ দলের একাংশ। তাঁদের দাবি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও কেন দল ছেড়ে নির্দল প্রার্থী হওয়া নেতাদের ফের তৃণমূলে নেওয়া হল।
এই বিষয়ে স্বপনের বক্তব্য, ‘ওঁরা বরাবর তৃণমূলের অংশ ছিল। অন্য কোনও দলে যায়নি। নির্দল ছিল। আজ ফের তৃণমূলে ফিরলেন। মিতালি বাগকে জয়ী করার বিষয়ে বদ্ধপরিকর’। তবে এতে চিঁড়ে ভিজছে না। কেউ কেউ আবার, আরামবাগ জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিজেপির থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগও এনেছেন।
কুমারগঞ্জের তৃণমূল সভাপতি শতদ্রুত রোজা বলেন 'ওনার কাছে আমার আর্জি, দলকে জিততে দিন। আপনি যদি বিজেপির থেকে টাকাপয়সা নিয়েও থাকেন, তাহলেও আপনার কাছে আমার আবেদন দলকে হারাবেন না’। তাঁর দাবি, স্বপন আসলে মিতালিকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নিতে পারেননি। তিনি চেয়েছিলেন বিদায়ী সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকে ফের দাঁড় করানো হোক। আর সেই জন্যই এমনটা করছেন তিনি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।