হাওড়ার হিংসা নিয়ে রাজ্য়পালকে সতর্ক করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ভোটে সুবিধে পেতে চাইছেন। 

হাওড়ার হিংসা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ফোন পেয়ে রীতিমত তৎপর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। প্রতিনমুহূর্তের আপডেট জানতে রাজভবনেই বিশেষ সেল খুলেছেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি তিনি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সশরীরে হাওড়ায় যাওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজ্যপালের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েও কিছুটা হলেও বাঁকা সুরে মন্তব্য করেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে শুভেন্দু বলেছেন, 'রাজভবন তার চোখ ও কান খোলা রাখবে ও অপরাধীদের বিচারের জন্য কার্যকর ও সমন্বিত ব্যবস্থা নেবে এটা জেনে ভাল লাগছে। কিন্তু মনে হচ্ছে মাননীয় রাজ্যপাল ডাঃ জেকিল ও মিসেস হাইডের সঙ্গে গোপনীয় আলোচনা করেছেন।' এখানেই শেষ নয় শুভেন্দু অধিকারী তাঁর টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই হাওড়ার অশান্তির মূল স্থপতি বলও দাবি করেছেন।

শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেছেন, রাজ্যপালের মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্বাস করা উচিৎ নয়। যখন তিনি কঠোর ও নিষ্পত্তিমূলক পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন। তারপরই শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী পক্ষপাতদুষ্ট, কারণ হিংসার জন্য তিনি ইতিমধ্যেই মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের দায়ী করেছেন। ইচ্ছেকৃত বিভাজনের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সমাজকে ভাগ করে তিনি নির্বাচনে সুবিধে নিতে চান।

Scroll to load tweet…

শুভেন্দু অধিকারী এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে হাওড়ার পুলিশকেই আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, গত বছরও হিংসার ঘটনা ঘটেছে। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি পুলিশ। তিনি আরও অভিযোগ করেন হাওড়ার পুলিশ নিরাপরাধ ব্যক্তিদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করছে।

Scroll to load tweet…

বৃহস্পতিবার রাম নবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়ার কাজিপাড়া অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। শুক্রবার আবার নতুন করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এদিন তৎপর ছিল পুলিশ। এলাকায় জড়ো হওয়া লোকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠি চার্জ করে। কাজিপাড়ায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।

বৃহস্পতিবারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৪৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে দোকানপাট ও বাজার বন্ধ ছিল। এলাকার অধিকাংশ মানুষও নিজেদের গৃহবন্দি করে রেখেছিলেন। গতকালের ঘটনায় প্রায় তিন জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এলাকায় এখনও মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বাম - ডান সব পক্ষের কাছেই এই আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন হাওড়ার ঘটনা খুবই দুর্ভ্যাগ্যজনক। তিনি আরও বলেছেন হাওড়ার ঘটনার পিছনে হিন্দু বা মুসলিম কেউ ছিল না। বিজেপি, বজরং ও এজাতীয় সংগঠনগুলি জড়িত বলেও অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী।