সংক্ষিপ্ত
অভিষেক বলেন পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। কিন্তু বিজেপি মানুষের রুজিরুটির অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন
বাঁকুড়ার জনসভা থেকে আবারও বিজেপিকে নিশানা করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন গত ৯ বছর ধরে দেশের মানুষকে সুশাসন প্রদান করতে ব্যার্থ কেন্দ্রীয় সরকার। নিজেদের ব্যার্থতা ঢাকতে এবার বিজেপি রাম মন্দিরের মত ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করা শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, মনরেগা প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেও রাজ্য সরকারগুলিকে দুর্বল করার চেষ্টা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
'বিজেপি নেতারা তাদের ব্যর্থতা ঢাকতে ধর্মের রাজনীতি করতে শুরু করেছে। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি কিন্তু দরিদ্র মানুষের পেটের ভাত জোগাড় করতে পারে না। মানুষ ইতিমধ্যেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি ও রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে ভুগছে। ' বাঁকুড়ার ওন্দার সভায় অভিষেক বলেন, ধর্ম ও রামমন্দির নিয়ে রাজনীতি হল কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যার্থতার ঢাকার একটি ষড়যন্ত্র। তিনি মানুষকে সাবধান করে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের ব্য়ার্থতা ঢুকতেই মানুষের মন অন্যদিকে ঘোরাতে চাইছে। সেই জন্যই রাম মন্দির ও ধর্ম নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে।
অভিষেক বলেন পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। কিন্তু বিজেপি মানুষের রুজিরুটির অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন অভিষেক। তিনি বলেন রাজ্যের জন্য মনরেগা প্রকল্প বা ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যাতে সমস্যায় পড়েছে রাজ্যের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। এদিন তিনি বলেন রাম নবমীতে ধর্মীয় মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়া ও হুগলি উত্তাল হয়ে উঠেছিল। সেই জন্য এদিন তিনি বিজেপিকেও দায়ী করেন। তিনি বলেন রাজ্যে উত্তেজনা ছাড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপির।
এদিনও অভিষেক বলেন, তিনি মোদীর মনরেগা প্রকল্পে বঞ্চিত বা ১০০ দিনের কাজ করে টাকা না পাওয়াদের ১ কোটি মানুষের চিঠি নিয়ে হাজির হবে। দিল্লিতে যাবেন ১ কোটি চিঠি নিয়ে। তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার জন্যই কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এই রাজ্যের মানুষের ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে দিয়েছে। বিজেপি নেতারা এই রাজ্যের মানুষের সঙ্গে বঞ্চনার রাজনীতি করছে।
এদিন অভিষেক বলেন বাঁকুড়ার মানুষ ২০১৯এর লোকসভা আর ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল। তৃণমূল হয়তো কোনও ভুল করেছিল- তাই তার সাজা দিয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বলেন, তৃণমূল তাদের ভুল সংশোধন করেছে। এবার বাকুড়ার মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকেই ভোট দেবেন বলেও আশা প্রকাশ করেছেন অভিষেক। তিনি আরও বলেন, পিছিয়ে পড়া জেলা বাঁকুড়াকে এগিয়ে নিয়ে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি আরও বলেন, কোভিড মহামারির সময় বাঁকুড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা পথে নেমেছিল। কিন্তু সেই সময় বিজেপি নেতা ও কর্মীদের স্থানীয় মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি। তবে কিছুটা হুঁশিয়ারির সুরেই বলেন, এবার যদি বাঁকুড়ার মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস আর জেলার মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করবে না।
চলতি বছর মে মাসে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।