সংক্ষিপ্ত
বিজেপির হয়ে নির্বাচনী প্রচারে কাটোয়ায় জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের সমালোচনা করলেও মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি।
শনিবার কাটোয়ার পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে বিজেপির মঞ্চে দীর্ঘ দিন পরে দেখা গেল জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন। হেরে যান। তারপর থেকে আর তেমনভাবে দেখা যায়নি রাজনীতিতে। তবে বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলের দুর্দান্ত জয়ের পরও জয় বন্দ্যোপাধ্য়ায়েও তৃণমূলে যোগদানের ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তাতে তেমন কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি ঘাসফুল শিবির থেকে। তারপর থেকে রাজনৈতিক সন্ন্যাসেই ছিলেন জয় , বলা যেতে পারে। কিন্তু দীর্ঘদিন পরে আবারও রাজনীতি সক্রিয়। এবার অবশ্য প্রচারে দিয়ে ঢালাও প্রশাংসা করলেন মমতা। তবে অভিষেককে তেমন গুরুত্ব দিলেন না।
যাইহোক জয় এদিন বলেন তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কথাতেই তিনি রাজনীতিতে দ্বিতীয় ইনিং শুরু করেছেন বলেও জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি জানান গত এক বছর নানাবিধ সমস্যার মধ্যে দিয়ে তিনি গিয়েছিলেন। কিছুটা দিশেহারা ছিলেন। আর সেই কারণেই ভেবেছিলেন রাজনীতি থেকে সরে যাবেন। কিন্তু তা আর হয়নি।
এদিন নির্বাচনী প্রচারে জয় বন্দ্যোপাধ্যায় সায়নীর তীব্র সমালোচনা করেন। দুর্নীতি ইস্যুতে একহাত নেন যুবতৃণমূলকে। তিনি বলেন, সায়নী খুব চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বলেন। কুন্তলের সঙ্গে ওর প্রত্যক্ষ যোগ পাওয়া গিয়েছে। তিনি আশাবাদী ইডির তদন্ত নিয়ে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন বিজেপির অভিনেতা রাজনীতিবিদ। তিনি বলেন তিনি দুটো বড় ভোটে লড়াই করেছিলেন। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। স্থানীয় ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তবে কাটোয়ায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে জয় অবশ্য অভিষেককে একহাত নেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বামদের বিরুদ্ধে মমতার লড়াইয়ের প্রশংসা করেন। পাশাপাশি বলেন, এখনও মমতা সৎ জীবনযাপন করেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে অভিষেককে নিয়ে। জয় নিজেই বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলার পেরেক হচ্ছে অভিষেক। বর্তমানে তৃণমূলে মমতা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। সব কিছুই করে অভিযোগ।' জয় আরও বলেন মমতার হাতে যদি তৃণমূল থাকত তাহলে আরও অনেক দিন তৃণমূল চলত। কিন্তু অভিষেক হাতে তৃণমূল। তাই এখন তাঁর মত বিরোধীদের সুবিধে হয়েছে।
এদিন জয় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন। তারপর ২০২০ সালে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সুস্থ হয়ে ওঠার পরেও পোস্ট কোভিডে আক্রান্ত ছিলেন। গত বছর তাঁর বাবা মারা গিয়েছেন। সব মিলিয়ে সময়টা খারাপ যাচ্ছিল। কিছুটা দিশেহারা অবস্থায় ছিলেন। সেই কারণেই তাঁকে রাজনীতির মঞ্চে তেমনভাবে দেখা যায়নি। বিমান বন্দরে জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা হওয়ার পরই বদলে যায় তাঁর জীবন। নাড্ডাই তাঁকে আবার রাজনীতিতে ফিরতে প্ররণা দিয়েছেন বলেও জানান জয়। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পেজেও কাটোয়ার প্রচারের কথা ও ছবি পোস্ট করেছেন জয়। সঙ্গে লিখেছেন আড়াই বছর পরে তিনি রাজনীতির ময়দানে ফিরলেন।