একবার, দুইবার, তিনবার- পরপর ৩ বার এসেও খুঁজে পাননি ঠিকানায় থাকা ভোটারদের। শেষ পর্যন্তে সেই নিখোঁজ ভোটারদের নামের তালিকা ঝুলিয়ে দিল বুথ লেবেল অফিসার (BLO)রা। দুটি বুথে নিখোঁজ প্রায় ৫৫ জন ভোটার।
একবার, দুইবার, তিনবার- পরপর ৩ বার এসেও খুঁজে পাননি ঠিকানায় থাকা ভোটারদের। শেষ পর্যন্তে সেই নিখোঁজ ভোটারদের নামের তালিকা ঝুলিয়ে দিল বুথ লেবেল অফিসার (BLO)রা। এই ঘটনা হুগলির চাঁপাদানী বিধানসভা কেন্দ্রের ১১১ নম্বর ও ১১২ নম্বর বুথে। ১১১ নম্বর বুথে খোঁজ পাওয়া যায়নি ২৫ জন ভোটারের। ১১২ নম্বর বুথে ৩০ জন ভোটারকে চিহ্নিত করা যায়নি।
নিখোঁজ ভোটারের তালিকা
হুগলির চাঁপদানী বিধানসভার ১১১ নম্বর বুথে ২৫ জন ১১২ নম্বর বুথে ৩০ জন ভোটারকে চিহ্নিত করতে না পেয়ে পাবলিক নোটিশ সাঁটিয়ে দিলেন বিএলও। অন্যদিকে বৈদ্যবাটি পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের দুটি বুথে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করতে গিয়ে বেশ কিছু ভোটারকে খুঁজেই পেলেন না বিএলও রা। তিনবার ওই এলাকায় গিয়েও তাদের না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় নোটিশ টাঙিয়ে দেন। তালিকা প্রকাশের উদ্দেশ্য হল নির্বাচন কমিশনের নিযুক্ত বিএলওরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির খোঁজে একাধিক এলাকায় গিয়েও তাদের সন্ধান পায়নি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ভোটার লিস্টে নাম তোলার জন্য প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী,কোনও ভোটারকে খুঁজে না পেলে সেই এলাকায় পাবলিক নোটিশ দেওয়ার কথা বিএলওর। সেই মত কাজ করেছেন তারা। তবে শুধু বিএলও-রা নয়, বিএলএ অর্থাৎ রাজনৈতিক দলের কর্মীরাওরাও খুঁজে বের করতে পারেননি তালিকায় থাকা ভোটারদের। তাই যাদের নামের তালিকা টাঙানো হয়েছে তারা বৈধ ভোটার কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মত যদি সঠিক ভোটার হন তাহলে এলাকায় থাকবেন নয়ত তার পরিবার আত্মীয় স্বজনরা থাকার কথা। এক্ষেত্রে কাউকে পাওয়া যায়নি।এসআইআর এর মাধ্যমে প্রকৃত বৈধ ভোটারদের নাম থাকুক অবৈধ ভোটার বাদ যাক। অন্যদিকে এসআইআরএর মেয়াদ আরও সাত দিনের মত বৃদ্ধি করেছে নির্বাচন কমিশন। আগে ৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল। এখন তার মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারি। তেমনই খসড়া ভোটার তালিকার মেয়াদও বৃদ্ধি করা হয়েছে।

