তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা স্বপন সেন ও তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য উজ্জ্বল হক কাদেরির ঘনিষ্ঠদের মধ্যেই সংঘর্ষ বাঁধে।
তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আবারও উত্তার বীরভূম (Birbhum)। এবার বালির টাকার বখরাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গড় হিসেবেই পরিচিত বীরভূম। বোমার আঘাতে শেখ সাত্তার আলি নামে এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর পা উড়ে গিয়েছে। জখম হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কাঁকরতলার পুলিশ। সকাল থেকেই বোমাবাজিকে কেন্দ্র করে প্রায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল কাঁকরতলা থানা এলাকার খলয়াশোল ব্লকের জামালপুর গ্রাম।
স্থানীয়রা জানিয়েছে , তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা স্বপন সেন ও তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য উজ্জ্বল হক কাদেরির ঘনিষ্ঠদের মধ্যেই সংঘর্ষ বাঁধে। বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। যাইহোক এলাকায় কানপাতলেই শোনা যাচ্ছে এই গোষ্ঠী সংঘর্ষ মূলত জেলার দুই শীর্ষস্থানীয় নেতার মধ্যে। একদিকে অনুব্রত মণ্ডল আর অন্যদিকে রয়েছেন কাজল শেখ। উজ্জ্বল অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। আর কাজল শেখের কাছের মানুষ স্বপন, কালো শেখরা। বালি খাদানের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তাল ছিল খয়রাশোল এলাকা। সোমবার ভোররাত থেকেই শুরু হয় বোমাবাজি।
গত বছরই জামিনে মুক্ত হয়ে তিহার জেল থেকে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। তারপর থেকেই আবার নতুন করে জেলায় মাথাচাড়া দিয়েছে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। গত কয়েক দিন ধরেই অনুব্রত বনাম কাজল শেখের গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ মারামারি হচ্ছে। গোষ্ঠীকোন্দল রুখতে দুই পক্ষই প্রকাশ্যে বর্তা দিয়েছে। অনুব্রত দাবি করেন বীরভূমে কোনও গোষ্ঠী নেই। একই কথা বলেন কাজল শেখও। কিন্তু ঘটনাক্রম অন্য কথা বলেছে।
তৃণমূল নেতা উজ্জ্বলের অভিযোগ, তাঁকে খুনের উদ্দেশ্য নিয়ে সোমবার রাতে এলাকার আর এক তৃণমূল নেতা কালো শেখের বাড়িতে জড়ো হন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য মহিবুল শেখ-সহ বেশ কয়েক জন। উজ্জ্বলের আরও অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরে ওই বাড়িতে বেআইনি অস্ত্র এবং বোমাও মজুত করা হচ্ছিল। অন্য দিকে, কালোর তরফে অভিযোগ, সোমবার রাতে তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে পরপর বোমা ছুড়েছেন উজ্জ্বলের অনুগামীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কালো-সহ ৮ জনকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গ্রামে মোতায়েন রাখা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। নতুন করে যাতে উত্তেজনা না ছড়ায় সেই দিকেই নজর দিচ্ছে প্রশাসন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
