Bus Strike update: ৭২ ঘন্টার বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন বাস মালিকরা। বৈঠকের পর ধর্মঘট স্থগিতের সিদ্ধান্ত। দাবি পূরণ না হলে ১ সেপ্টেম্বরের পর বড় কর্মসূচির হুঁশিয়ারি।

Bus Strike update: বৃহস্পতিবার থেকে ৭২ ঘন্টা বাস ধর্মঘটে নামার কথা ছিল প্রাইভেট বাস মালিকরা। আগামী ২২, ২ এবং ২৪ মে টানা ৭২ ঘন্টা ধরে কলকাতা ও আশপাশের রাস্তায় বন্ধ থাকার কথা ছিল বেসরকারি বাস পরিষেবা। একগুচ্ছ দাবি ও অভিযোগ নিয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল পাঁচটি বেসরকারি বাস সংগঠন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু, বৈঠকে কাটল জট, ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়াল বাস মালিকেরা, হচ্ছে না ধর্মঘট। তবে এখনই প্রত্যাহার নয়, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে ধর্মঘট। জানা গেল এমনটাই।

দাবি পূরণ না হলে ১ সেপ্টেম্বরের পর বড় কর্মসূচি নিতে পারে তারা, এমনই জানানো হয়েছে। বুধবার লালবাজারে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের উপস্থিতিতে বাস সংগঠনের মালিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে বাস সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শ্যামবাজার, শিয়ালদহ এবং ভবানীপুরে স্পেশ্যাল রেস্ট্রিকশন এবং অ্যান্টিপলিউশন সেকশন পাঁচশো টাকা করে তুলত, এই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার নজরদারি চলবে। আমরা সিপি মনোজ ভার্মার সামনে পুলিশের কাছে যে সমস্ত প্রস্তাহ জমা দিয়েছি, সিপি দায়িত্ব নিয়ে বলেছেন প্রত্যেকটি অভিযোগ বিবেচনা করে দেখা হবে।

বৈঠকের পর ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস মিনিবাস অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বসু জানিয়েছিলেন, বৈঠক থেকে সমাধান সূত্র বের হয়নি। শুধুই মৌখিক আশ্বাস, ফলে আমরা ধর্মঘটের পথ থেকে সরছি না।

বৈঠকের পর পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, বাস মালিকদের হেনস্থা করা উদ্দেশ্য নয়। নিয়ম ভাঙলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। কোথাও বাসে বেশি ভাড়া নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের যে দাবিগুলো ছিল তা মেটাতে সক্ষম হয়েছি। আগামী ৩ মাস সংযোগ পোর্টাল চালু থাকবে। তিন মাস পরে বৈঠর হবে।

প্রসঙ্গত, জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেট (পশ্চিমবঙ্গ), বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট, ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, মিনিবাস অপারেটর্স কো অর্ডিনেশন কমিটি, ইন্টার অ্যান্ড ইন্ট্রা রিজিয়ন বাস অ্যাসোসিয়েশন - এই পাঁচটি সংস্থা ডাক দিয়েছিল ধর্মঘটের।

তাদের প্রথম দাবি ছিল, ১৫ বছরের পুরনো বাস বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। তাদের মতে কোভিড ১৯-র সময় ২ বছর পরিষেবা প্রায় বন্ধ থাকায় বাস্তবতা মেনে এই সিদ্ধান্ত সংশোধন প্রয়োজন। তেমনই পুলিশ হয়রানি বন্ধের দাবি তুলেছিল তারা। অযৌক্তিক টোল ট্যাক্স আদায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছিল। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির ফরে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে বলে দাবি জানান।