Murshidabad Violence: মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের (Waqf Amendment Act) প্রতিবাদে হিংসা নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে সারা রাজ্য। এখনও সেই ঘটনা নিয়ে আইনি লড়াই চলছে। একইসঙ্গে আন্দোলনও চলছে।

Calcutta High Court on Dharna: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) অশান্তি ও নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের সামনে ধর্ণার ডাক বিজেপি-র (BJP) এক সংগঠনের। আরও জানা গিয়েছে, এই ধর্নায় উপস্থিত থাকবেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার দুপুর ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এক হাজার জন কর্মী–সমর্থক নিয়ে সল্টলের রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচি অভিযানে মেলেনি পুলিশের অনুমতি। ওই সংগঠনের সভাপতি সূরজকুমার সিংহ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়েছে। আদালত থেকে ধর্ণার অনুমতি পাওয়া গিয়েছে।

ধর্ণা নিয়ে কী নির্দেশ হাইকোর্টের?

মঙ্গলবার হাইকোর্টে শুনানিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নির্দেশ দেন, 'মামলাকারীরা সল্টলেকের যে অঞ্চলে ধর্ণা দেওয়ার অনুমতি চেয়েছেন, সেই অঞ্চল খুবই সংকীর্ণ। তাই রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের অফিসের সামনে ধর্না বা সভা করা যাবে না। তার বদলে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কের সামনে ধর্ণার কর্মসূচি চালাতে পারবেন মামলাকারীরা। তবে ১,০০০ বা ৫০০ জন নয়, মাত্র ২০০ জনকে নিয়ে কর্মসূচি করতে হবে। পরে স্মারকলিপি জমা দিতে মানবাধিকার কমিশন অফিসে যেতে পারবেন মাত্র তিন থেকে পাঁচ জন প্রতিনিধি।'

ওয়াকফ আইন নিয়ে মুর্শিদাবাদে হিংসা

স‌ংশোধিত ওয়াকফ আইন (Waqf Amendment Act) ঘিরে গত মাসে উতপ্ত হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদের সুতি, ধূলিয়ান, সামশেরগঞ্জ–সহ নানা অঞ্চল। বাড়ি ভাঙচুর, আগুন, লুঠপাঠ হয়েছিল। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অভিযোগ ওঠে জাফরাবাদে। যেখানে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অশান্তির ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়, আহত হন অনেকে, ঘরছাড়াও হয়েছেন অনেকে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্যে রাজ্য পুলিশ সেখানে পরিস্থিতি মোকাবিলার কাজে নামলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এখন। অভিযোগ, মুর্শিদাবাদের এই মর্মান্তিক শোরগোল, এছাড়াও অনেক জায়গায়ই হিন্দুদের ওপর আক্রমণ ও অত্যাচারে নিষ্ক্রিয় রাজ্য মানবাধিকার কমিশন।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।