সংক্ষিপ্ত
সোমবার দুর্গাপুজোর অনুদান সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলা ওঠে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে।
দুর্গা পুজোর সরকারি অনুদান নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের কটক্ষা রাজ্য সরকারকে। দুর্গা পুজোর অনুদান সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ হল যে টাকা রাজ্য সরকার অনুদান হিসেবে দেয় তাতে কিছুই হয় না। কিন্তু এই টাকা ক্লাব সদস্যদের কাজে লাগতে পারে। দুর্গা পুজোর সরকারি অনুদান নিয়ে আপত্তি জানিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্ট।
সোমবার দুর্গাপুজোর অনুদান সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলা ওঠে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, 'পুজোয় ৮৫ হাজার টাকা কিছুই নয়। ওই টাকা সম্ভবত ক্লাব সদস্যদের কাজে লাগতে পারে।'এদিন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ দুর্গা পুজোয় সরকার অনুদানের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেন। শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'গত দুই বছর ধকরে আমি পুজো প্যান্ডোলে গিয়েছে। যা দেখেছি তাতে মনে হত্ছে ৮৫ হাজার টাকায় কিছুই হয় না। ওই টাকা সম্ভবত ক্লাব সদস্যদের কাজে লাগতে পারে।'
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দুর্গা পুজোয় সরকারি অনুদান চালু করেছিলেন। চলতি বছর সেই অনুদানের টাকা ৭০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৮৫ হাজার করা হয়েছে। তাতেই আপত্তি জানিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানেই মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, রাজ্য সরকার পুজোর অনুদান খাতে ৩৭ হাজার কোটি টাকা খরচ করছে। মামলাকারীর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন শামিম আহমেদ। এদিন শুনানিতে রাজ্যের থেকে অনুদান সংক্রান্ত সিএজি রিপোর্টও তলব করছে কলকাতা হাইকোরক্ট। পরিরে শুনানিতে রাজ্যকে সেই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হলফনামা রাজ্য কোন কোন খাতে কত টাকা খরচ করছে, কোথায় খরচ করা হচ্ছে তার বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি।
গত কয়েক বছর ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকার দুর্গা পুজোয় সরকারি অনুদান দিচ্ছে। গত বছর সেই অনুদানের অঙ্ক ছিল ক্লাব প্রতি ৭০ হাজার টাকা। এবার তা বাড়িয়ে ৮৫ হাজার করা হয়েছে। যা নিয়ে অনেকেই আপত্তি জানিয়েছে। সরকারি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগও উঠছে। অন্যদিকে আরজি কর আবহে অনেক পুজো কমিটিই সরকারি অনুদানের টাকা ফেরত দেওয়া ও না নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। যদিও পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন কোনও পুজো কমিটি টাকা না নিলে তা অন্য যে পুজো কমিটি টাকা পাচ্ছে না তাদের দিয়ে দেওয়া হবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।