সংক্ষিপ্ত
আর জি কর মামলা নিয়ে যখন রাজ্য সরকার ও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস অস্বস্তিতে, ঠিক সেই সময় গরু পাচার মামলায় একের পর এক অভিযুক্ত জামিন পেয়ে যাচ্ছেন। ফলে কিছুটা স্বস্তিতে শাসক দল।
২০২২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হন। সোমবার জামিন পেলেন ব্যবসায়ী এনামুল হক। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টেরেটের (ইডি) দায়ের করা মামলায় জামিন পেলেন এনামুল। গত বৃহস্পতিবার জামিন পেয়েছেন বীরভূমের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর সোমবার তিহার জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার কথা। সেদিনই জামিন পেয়ে গেলেন এনামুল। এই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেছিল সিবিআই। সেই মামলায় আগেই জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন। এবার ইডি-র মামলাতেও জামিন পেয়ে গেলেন এনামুল। ফলে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে জামিন সংক্রান্ত নথি পৌঁছে গেলেই মুক্তি পেয়ে যাবেন এনামুল।
কোন পথে গরু পাচার মামলা?
গরু পাচার মামলায় অনব্রত ও এনামুলের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। অনুব্রতর দেহরক্ষী সাইগলের সঙ্গে এনামুলের নিয়মিত কথা হত বলে দাবি করে সিবিআই। এবার কয়েকদিনের ব্যবধানে অনুব্রত ও এনামুলের জামিন এই মামলার গতি-প্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর আসানসোলে সিবিআই আদলতে আত্মসমর্পণ করেন এনামুল। এরপর তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। দেড় বছর সিবিআই হেফাজতে থাকার পর ২০২২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এনামুলকে গ্রেফতার করে ইডি। গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল। ইডি-র চার্জশিটে এই ব্যবসায়ীর পাশাপাশি বিনয় মিশ্র, বিকাশ মিশ্র, বিএসএফ অফিসার সতীশ কুমার, অনুব্রত, তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল-সহ মোট ১২ জন অভিযুক্ত এবং এনামুল-অনুব্রতদের ১৪টি সংস্থার নাম ছিল। এনামুলের বিরুদ্ধে বিএসএফ কমান্ডারকে ঘুষ দিয়ে সীমান্তে গরু পাচার চালানোর অভিযোগ রয়েছে।
এবার কোন পথে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি?
সিবিআই, ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গরু পাচার, কয়লা পাচার মামলার তদন্ত করছে। কিন্তু অন্যতম অভিযুক্তরা জামিন পেয়ে যাওয়ায় তদন্তকারীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত শুধুই এনামুল হকের ভাগ্নেরা? জবাব যাচাই করতে রাইস মিলে হানা দিল সিআইডি
গরু পাচারের সঙ্গে আবার উঠে এল লটারি-কাণ্ড, মোটা অঙ্কের পুরস্কার জিতেছিলেন এনামুল হকও