সংক্ষিপ্ত
অভিযোগ উঠেছে মগরাহাটের ১ নম্বর ব্লকের উত্তর কুসুম গ্রাম পঞ্চায়েতে ২০১৩ -২০২৩ সাল পর্যন্ত বাড়ি বানানোর টাকার অপব্যবহার নিয়ে
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ! এবার রাজ্যের কাছে এই নিয়ে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
অভিযোগ উঠেছে মগরাহাটের ১ নম্বর ব্লকের উত্তর কুসুম গ্রাম পঞ্চায়েতে ২০১৩ -২০২৩ সাল পর্যন্ত বাড়ি বানানোর টাকার অপব্যবহার নিয়ে। কাঠগড়ায় স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান। নোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি মামলা করেছিেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, 'প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা দেয় কেন্দ্র সরকার। সেই টাকা গবীর মানুষের বাড়ি তৈরির জন্যই বরাদ্দ। কিন্তু আমার এলাকায় ভুয়ো নথির মাধ্যমে স্বজন পোষণ ও সেই টাকা নয়ছয় করেছে পঞ্চায়েত প্রধান।' তাঁর অভিযোগ আবাস যোজনার পুরো টাকা নয়ছয় করা হয়েছে।
মামলাকারীর আইনজীবী মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্য়ায় ও আইনজীবী মাসন দাস আদালতে বলেছেন, নিয়ম অনুযায়ী আবাস যোজনার অর্থ ব্যয়ের সময় নাগরিক ওই প্রকল্পের সুবিধে ভোগ করছেন তার ছবি -সব বাড়ির ছবি দিতে হয়। কিন্তু সেখানে দেখা যাচ্ছে যারা পরিষেবা পেয়েছে তাদের বদলে অন্যের ছবি দেওয়া হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তারা জাহানারা বিবির কথা বলেন। যার বয়স ৭২ বছর। কিন্তু মহিলার পরিবর্তে সেখানে রয়েছে একটি শিশুকন্যার ছবি। মামলাকারীর অভিযোগ , প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার টাকা নিয়ে স্বজনপোষণ করছেন পঞ্চায়েত প্রধান। তাই দরিদ্ররা বাড়ির সুবিধে পাচ্ছে না।
অন্যদিকে ওয়েবসাইটের তথ্য অনুয়ায়ী সেরিনা বিবি নামে এক মহিলার নামে ২৯টি শৌচাগারের টাকা বরাদ্দ হয়েছএ। হাইকোর্টে এই বিষয়ে মামলা হতেই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ আগামী ৬ সপ্তাহে মধ্যেই রাজ্যের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।