সংক্ষিপ্ত

সুকন্যা মণ্ডলের জামিনের বিরোধীতায় একের পর এক যুক্তি পেশ করেছেন ইডির আইনজীবী।

ফল হল না প্রার্থনায়। এবারেও জামিন খারিজ অনুব্রত কন্যার। মেয়ের জামিনের জন্য প্রার্থনা করতে দেখা গিয়েছিল বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতাকে। কিন্তু সেই প্রার্থনায় বিশেষ লাভ হয়েনি। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে ফের খারিজ হল সুকন্যা মণ্ডলের জামিনের আবেদন। গরু পাচার মামলায় আপাতত তিহার জেলেই থাকতে হবে সুকন্যা মণ্ডলকে। এদিন দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে মামলার শুনানি চলাকালীন সুকন্যা মণ্ডলের আইনজীবীর প্রশ্ন করেন গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমার। তাঁর স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ১২ কোটি টাকার হদিশ পাওয়া গেলেও কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হল না?

অন্যদিকে সুকন্যা মণ্ডলের জামিনের বিরোধীতায় একের পর এক যুক্তি পেশ করেছেন ইডির আইনজীবী। ইডির আইনজীবীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি জানিয়েছেন, সুকন্যা মণ্ডল ব্যবসার দেখাশোনা করতেন, বিভিন্ন বিষয় তাঁকে নির্দেশও দিতেন সুকন্যা। এছাড়া ইডির আইনজীবীর যুক্তি সুকন্যা শিক্ষিতা, কোনও বিষয় না জেনেই সই করেছেন এই কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়। পাশাপাশি সুকন্যার বিরুদ্ধে একাধিকবার 'প্রভাবশালী তত্ত্ব' এনেছে ইডি।

প্রসঙ্গত, এর আগেও বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ করল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। এই দিন আবার নতুন সমস্যার মুখে পড়তে হল জেলবন্দী কেষ্টকে। বুধবার জানা গিয়েছে কেষ্ট ও তাঁর পরিবারের নামে থাকা সমস্ত সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছে ইডি। গরু পাচার মামলার শুরু থেকেই অনুব্রতর একাধিক হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তির হদিশ মিলেছিল। অনুব্রতর প্রয়াত স্ত্রী ছবি ও কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামেও বিপুর সম্পত্তির হদিশ পেয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা। এবার সেই সব সম্পত্তি অ্যাটাচ করল ইডি। তিহাড় জেলে বন্দী তৃণমূলের দাপুটে নেতার জন্য ইডির এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহেই বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।

ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে মোট ১১ কোটি টাকার সম্পত্তি অ্যাটাচ করা হয়েছে। এছাড়াও ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করা হয়েছে। উল্লেখ্য এর আগে অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের নামে থাকা ১৭ কোটি টাকার সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছিল সিবিআই। অন্যদিকে বুধবারই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা। অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের অভিযোগও তোলেন সুকন্যা।